| রবিবার, ০৫ মার্চ ২০১৭ | প্রিন্ট
মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম মাসুম,মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি : রাত পোহালেই ভোট। আগামীকাল (৬মার্চ সোমবার) অনুষ্ঠিত হবে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদের উপ-নির্বাচন। এ নির্বাচনে দেশের প্রধান ৩ টি রাজনৈতিক দল থেকে প্রথম বারের মত দলীয় প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মাঠে নেই কোন নির্বাচনী আমেজ, দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঝেও নেই কোন উত্তাপ।
বর্তমান সরকারের অধিনে বিগত কয়েকটি নির্বাচনী অভিজ্ঞতা এবং একমাত্র আওয়ামীলীগ প্রার্থী ছাড়া অন্য ২ প্রার্থী মাঠে না থাকায় নির্বাচন নিয়ে ভোটার এবং সাধারণ মানুষের মাঝে কোন উৎসাহ উদ্দিপনা নেই। প্রায় ৪ লক্ষ জনসাধারণ অধুস্বিত দেশের ২য় বৃহত্তম উপজেলা মোরেলগঞ্জ। ১৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এ উপজেলায় ভোট কেন্দ্র রয়েছে ১০৯টি । ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৮ হাজার ৫৬৫ জন এর মধ্যে পুরুষপুরুষ ১ লাখ ৪ হাজার ৫২৫ও নারী ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৪ হাজার ৪০ জন।
বিগত ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে তৎকালীন ভাইস চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা এইচ,এম ছাবুল আখতারের মৃত্যুতে ভাইস চেয়ারম্যানের পদটি শূণ্য হয়। এক বছরের অধিক কাল সময় পদটি শূণ্য থাকার পর অবশেষে আগামী কাল ৬ মার্চ অনুষ্ঠিত হচ্ছে উপ-নির্বাচন। ভাইস চেয়ারম্যান পদের এ উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন প্রায়াত ভাইস চেয়ারম্যানের স্ত্রী আওয়ামীলীগ মনোনীত ফাহিমা খানম(নৌকা),উপজেলা যুব দলের সভাপতি খ.ম বদিউজ্জামান (ধানের শীষ) ও জাতীয় পার্টীর মনোনীত মো. আক্তারুজ্জামান (লাঙ্গল)। এ ৩ প্রার্থীর মধ্যে একমাত্র আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ছাড়া অন্য ২ প্রার্থীর তেমন কোন তৎপড়তা নেই। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ফাহিমা খানম দলের উল্লেখযোগ্য অংশের সহযোগিতা না পেলেও তিনি তার সমর্থকদের নিয়ে প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে তার নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
পোষ্টার-লিপলেট বিতরণসহ মাইকিংয়ের মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। অপর ২ প্রার্থীর মধ্যে জাপা প্রার্থী আক্তারুজ্জামানের লাঙ্গল প্রতীকের সিমিত আকারে কিছু প্রচারণা চালানো হলেও তা নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা নেই ভোটার এবং সাধারণ মানুষের মাঝে। বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের নেই কোন প্রচার প্রচারণা। নেই কোন পোষ্টার লিপলেট। মাঠে নামেননি প্রার্থীসহ দলীয় কোন নেতা-কর্মী। তাদের প্রচারণা চলছে ফেসবুক কেন্দ্রিক। সংবাদপত্রে ২/১টি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েই তারা সেরেছেন তাদের নির্বাচনী কর্মকান্ড। বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের পক্ষে বিপুল জনসমর্থন ও ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগে নানা দল উপদলের কোন্দল গ্রুপিং থাকার সুবাদে বিএনপি প্রার্থীর বৈতারণী পার হওয়া অনেকটা সহজ হবে বলে মনে করছিলেন এলাকার ভোটার ও সাধারণ মানুষ। কিন্তু বিজয় ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টাতো দুরের কথা মাঠেই নামেনি বিএনপির প্রার্থী ও তাদের দলীয় নেতা-কর্মীরা। বিএনপি’র বিপুল জনশক্তি থাকার পরেও প্রার্থী নিয়ে মাঠে না নামায় নিয়ম রক্ষার এ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ প্রার্থী ফাহিমা খানম নিশ্চিত বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে।
Posted ০৮:৫৪ | রবিবার, ০৫ মার্চ ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin