বৃহস্পতিবার ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোবাইল ও টাকা ছিনতাই মামলায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৪ জন আসামী

  |   শনিবার, ০৬ আগস্ট ২০২২ | প্রিন্ট

মোবাইল ও টাকা ছিনতাই মামলায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৪ জন আসামী

নিজস্ব প্রতিবেদক,পেকুয়া : মোবাইল ও নগদ টাকা ছিনতাই মামলায় আসামী হলেন কক্সবাজারের পেকুয়ার উজানটিয়া ইউপির দুই বারের নির্বাচিত সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও নৌকা প্রতীকের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী এটিএম শহিদুল ইসলাম চৌধুরী। ওই মামলায় তাকে তিন নাম্বার আসামি করা হয়েছে।

এ মামলাটি দায়ের করেন উজানটিয়া ইউনিয়নের পূর্ব উজানটিয়া নূরীর পাড়া এলাকার মৃত মৌলভী নুরুল হকের পুত্র মুমিনুল হক রোকন। পেকুয়া থানায় দায়েরকৃত এ মামলায় চেয়ারম্যানসহ আরো ৩ জনকে আসামি করা হয়। এজাহারসূত্রে জানা যায়,২১ জুলাই দুপুর ২ টায় বাদী মুমিনুল হক রোকন পেকুয়া বাজারে চিংড়ি মাছ বিক্রি করে বাড়ী ফেরার পথে উজানটিয়া ইউপির গোদারপাড় স্টশনে কলিমের চায়ের দোকানের সামনে পৌঁছলে আগে থেকে উৎপেতে থাকা বিবাদীগণ তাকে গতিরোধ করে। বিবাদীগণের হাতে থাকা হাতুড়ি ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে তার কোমরে থাকা নগদ ১ লক্ষ টাকা ও একটি ১২ হাজার টাকা দামের স্মার্ট মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় আহত রোকন বাদী হয়ে পেকুয়া থানায় এজাহার দেয়। পেকুয়া থানার ওসি এজাহার আমলে নিয়ে মামলা হিসেবে রুজু করে। যার নং ০১/২২ ইং। মামলার অন্য আসামিরা হলেন ওই এলাকার মৃত রোকন উদ্দিনের পুত্র কাফি, জয় এবং কফিল উদ্দিনের পুত্র আরফাত।

এদিকে স্থানীয়রা জানান, মুমিনুল হক রোকন গত ১৯ জুলাই স্থানীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন মৌলভী নুরুল আলমকে আযান দেওয়া এবং তার পিছনে নামাজ না পড়া নিয়ে গালমন্দ করে। মোয়াজ্জিম প্রতিবাদ করলে এক পযার্যে ওই মোয়াজ্জিমকে মারধর করে রোকন। বিষয়টি স্থানীয় ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান এটিএম শহিদুল ইসলাম চৌধুরী কে মোয়াজ্জিম অবগত করে এবং এ নিয়ে মোয়াজ্জিম মৌলভী নুরুল আলম বাদী হয়ে মুমিনুল হক রোকন কে বিবাদী করে পেকুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়। ২১ তাং দুপুরে উজানটিয়া ইউপির গোদারপাড় স্টশনে কলিমের চায়ের দোকানে মোয়াজ্জিমের ঘটনার বিষয়টি নিয়ে কফিল উদ্দিনের পুত্র আরফাতের সাথে কথা-কাটাকাটি হয়।

এ সময় শহিদ চেয়ারম্যান এসে দুইজনকে বকা দিয়ে ওখান থেকে সরিয়ে দেয়। পরে মুমিনুল হক রোকন কার ইর্ষারাই ইর্ষানিত হয়ে তিল কে থাল বানিয়ে ২১ জুলাই তারিখের আসল ঘটনাকে আড়াল করে ৩ আগষ্ট একটি ছিনতাই মামলা রেকর্ড করায় পেকুয়া থানায়। এ মামলায় ২ জন আসামী চট্টগ্রামে থাকে। ওদিনও চট্টগ্রামে ছিল। ওখানে থাকার পরও মামলার আসামি হল কিভাবে। সচেতন মহল বলেন, পেকুয়া থানা পুলিশ কি ঘটনার তদন্ত না করে বাদী যেমন তেমন এজাহার দিলে মামলা নিয়ে নেন। অতীতে তো এমন হত না বর্তমানে কি নতুন আইন বা নিয়ম চালু হয়েছে।

এ বিষয়ে উজানটিয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মামলার আসামী এটিএম শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন ১৯ তারিখে মোয়াজ্জিনের ঘটনা নিয়ে ওসি সাহেবের সাথে কথা হয়েছে এবং তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানিয়েছেন। পরে আমি যখন শুনি আমার বিরুদ্ধে ছিনতাই মামলার জন্য এজাহার জমা দিয়েছে তখনই ওসি সাহেবকে বলি বিষয়টি কি রকম হচ্ছে তখন তিনি বলেন আমি বিষয়টি দেখতেছি বলেই একটি মামলা রেকর্ড করে নিলেন। এটি সম্পন্ন ষড়যন্ত্র মূলক মামলা। আমি আইনগত পদক্ষেপ নিবো।

এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফরহাদ আলী বলেন বাদী যেমন এজাহার দিয়ে সেই ভাবে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। তারপরও তদনÍ করে নিরাপরাধ ব্যক্তিদেরকে বাদ দেওয়া হবে।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৭:২৯ | শনিবার, ০৬ আগস্ট ২০২২

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com