বৃহস্পতিবার ২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

মুসাফিরের নামাজের বিধান

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট

মুসাফিরের নামাজের বিধান

কাজে, বিশেষ প্রয়োজনে কিংবা প্রমোদভ্রমণের জন্য মানুষ নিজের এলাকা ও বাড়ি থেকে বের হয়। অনেক দূরে চলে যায়। কোনো ব্যক্তির এমন কোনো উদ্দেশে নিজ বাড়ি থেকে ভ্রমণ বা সফরে বের হওয়ার পর কমপক্ষে ৪৮ মাইল দূরত্ব অতিক্রম করলে তাকে শরীয়তের পরিভাষায় মুসাফির বলা হয়।

 

মুসাফির ব্যক্তি চার রাকাতবিশিষ্ট ফরজ নামাজ দুই রাকাত (কসর) পড়বেন। এই সংক্ষেপে আল্লাহপ্রদত্ত কল্যাণ রয়েছে।

 

কোরআনে বলা হয়েছে, ‘তোমরা যখন জমিনে সফর করবে, তখন তোমাদের জন্য নামাজের কসর করায় কোনো আপত্তি নেই। (সুরা নিসা, আয়াত: ১০১)

মুসাফিরের নামাজের নিয়ম
মুসাফির চার রাকাতবিশিষ্ট ফরজ নামাজ একাকী পড়লে বা মুসাফির ইমামের পেছনে আদায় করলে, কসর করা জরুরি। এ ক্ষেত্রে পূর্ণ নামাজ পড়া ঠিক নয়।

 

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘আল্লাহ তায়ালা তোমাদের নবীর মুখে নামাজকে মুকিম অবস্থায় চার রাকাত ও সফর অবস্থায় দুই রাকাত ফরজ করেছেন।’ (মুসলিম, হাদিস: ৬৮৭)

 

মুসাফির ব্যক্তি সফর অবস্থায় ইচ্ছাকৃত চার রাকাত নামাজ পূর্ণ করলে গুনাহ হবে (তবে মুকিম ইমামের পেছনে হলে অসুবিধা নেই)। এ ক্ষেত্রে নামাজ পুনরায় পড়বে।

 

আর যদি ভুলক্রমে চার রাকাত শুরু করে দেয় এবং প্রথম বৈঠক করে থাকে, তা হলে সিজদা সাহু করে নিলে ফরজ নামাজ আদায় হয়ে যাবে। আর যদি প্রথম বৈঠক না করে থাকে, তা হলে ফরজ আদায় হবে না, আবারও পড়তে হবে।(বাদায়েউস সানায়ে: ১/৯১)

 

মুকিম ইমামের পেছনে নামাজ
মুসাফির ব্যক্তি মুকিম ইমামের পেছনে ইকতিদা করলে সে ইমামের অনুসরণে পূর্ণ নামাজই আদায় করবে। (আল মাবসুত, সারাখসি: ১/২৪৩)

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘মুসাফির যদি মুকিমদের সঙ্গে নামাজে শরিক হয়, তবে সে যেন তাদের মতো (চার রাকাত) নামাজ পড়ে।’ (ইবনে আবি শাইবা: ৩৮৪৯)

 

সফর অবস্থায় নামাজ কসর করা সম্পর্কে অনেক হাদিস রয়েছে। এসব হাদিস দ্বারা সুস্পষ্টরূপে প্রমাণিত যে, রাসুলুল্লাহ (সা.) সফর অবস্থায় সর্বদা নামাজ কসর পড়েছেন। আর মাগরিব, বিতর ও ফজরের নামাজ পূর্ণই আদায় করতে হবে, এগুলোর কসর নেই।

 

সুন্নাত পড়ার বিধান
মুসাফির ব্যক্তির জন্য চলন্ত অবস্থায় বা তাড়াহুড়া থাকলে ফজরের সুন্নাত ছাড়া অন্যান্য সুন্নাতে মুয়াক্কাদা না পড়ার সুযোগ রয়েছে। তবে স্বাভাবিক ও স্থির অবস্থায় সুন্নাত নামাজ আদায় করবে। (ইলাউস্ সুনান: ৭/১৯১, রদ্দুল মুহতার: ১/৭৪২)

 

মূলত সফর অবস্থায় তাড়াহুড়া ও ব্যস্ততার সময় সুন্নাত না পড়ার অবকাশ আছে। আর গন্তব্যে পৌঁছার পর সুন্নাত নামাজ পড়া উত্তম। সুন্নাত পড়লে পুরোটাই পড়বে। কেননা সুন্নাত নামাজের কসর হয় না।   সূএ: ডেইলি-বাংলাদেশ

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ০৭:৫৯ | বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারি ২০২৩

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com