| সোমবার, ০৪ জানুয়ারি ২০২১ | প্রিন্ট
নারকীয় ঘটনার সাক্ষী থাকলো ভারতের দিল্লি। মা-মেয়েকে ধর্ষণ করে দুই মাতাল। শুধু তাই নয়, যখন ঘটনাটি ঘটছে, তখন আশপাশের কেউ এগিয়ে আসেননি। পুরো ঘটনার ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়।
রোববার (৩ জানুয়ারি) সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত সেই ভিডিওর ভিত্তিতে দুই সন্দেহভাজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দুইজনের নাম সোনু ও অমিত। দু’জনেই স্থানীয় এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ তদন্ত করে গ্রেপ্তার করেছে স্থানীয় সেই বাসিন্দাকেও, যে ওই ভিডিওটি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়েছিলো। জানা গেছে, ডিসেম্বরের ২৯-৩০ তারিখে এই ঘটনা ঘটে।
ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর রোববার দিনভর পুলিশ প্রাথমিকভাবে নির্যাতিত দুই মহিলার খোঁজে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে স্থানীয় বাস স্টপ, মেট্রো স্টেশন ও বিভিন্ন ঝুপড়িতে সন্ধান চালায়। ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই দুই নির্যাতিতার সন্ধান পাওয়া যায়।
তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, মা-মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে ২৯ ডিসেম্বর ও ৩০ ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের রাতে। নির্যাতিতা মায়ের বয়স ৩৫ বছর। আর মেয়ের বয়স ১৮ বছর। মেয়ে বিশেষভাবে সক্ষম। লকডাউনের সময় স্ত্রী, সন্তানকে ছেড়ে নিজের গ্রামে ফিরে গিয়েছেন ওই মহিলার স্বামী। তারপর থেকে তারা একাই থাকেন।
ঘটনার দিন রাতে, দুই সন্দেহভাজন প্রথমে নির্যাতিতা দু’জনের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতে শুরু করে। সেই সময়ে সন্তানকে আগলাতে মা এগিয়ে এসে প্রতিরোধ করতে চেষ্টা করলে খুনের হুমকি দেয়। চেঁচামেচিতে প্রতিবেশীদের ঘুম ভেঙে গেলেও ঘটনার সময় কেউ এগিয়ে আসেননি। উল্টো প্রতিবেশী একজন পুরো ঘটনার ভিডিও করে। তারপর সেটা পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ভিডিওতে দেখা গেছে, কীভাবে হাতে ইট তুলে মারার ভঙ্গি করছে ওই দুই মাতাল। আর ওই মহিলা হাত জোড় করে ছেড়ে দিতে বলছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, তদন্তের স্বার্থে ইতিমধ্যে ওই মহিলা ও তার মেয়ের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে।
Posted ১৫:২৪ | সোমবার, ০৪ জানুয়ারি ২০২১
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain