| বুধবার, ০৪ জানুয়ারি ২০১৭ | প্রিন্ট
এম এম হারুন আল রশীদ হীরা, মান্দা (নওগাঁ) : নওগাঁর মান্দা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোল্লা মোহাঃ এমদাদুল হক ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সভাপতি পদ নিয়ে তিনি এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে ধরাকে সরা জ্ঞান করে চলেছেন। কোট কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। শুধু তিনিই নয়। বাবার পদের ক্ষমতার বলে ছেলে মহিদুল হক বাদশা ক্যাডার বাহিনীর মাধ্যমে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। জোর পূর্বক বালুমহল দখল, চাঁদা আদায়, ভূমি দখল সহ রয়েছে বিভিন্ন অভিযোগ। এলাকায় তাদের ভয়ে কেউ কিছু বলার সাহস রাখে না। মোল্লা বংশের হাত থেকে পরিত্রান পেতে চাই মান্দাবাসী। তার পরিবারের সব অনিয়ম, দূর্নীতি ও অপকর্মের বিচারের দাবীতে দিনে দিনে ফুঁসে উঠেছে মান্দাবাসী। আগামীতে যেন এমদাদুল হক মোল্লা আ’লীগের কোন পদে থাকতে না পারে এ নিয়ে উপর মহলের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন মান্দাবাসী। তার খুঁটির জোর কোথায়?
জানা গেছে, স্বাধীনতার সময় ন্যাপ এবং জিয়াউর রহমানের সময় ইয়ূথ কমপ্লেক্স সহ বিভিন্ন দলের সাথে যুক্ত ছিলেন এমদাদুল হক । নব্বইয়ের দশকে কুশুম্বা ইউনিয়নের খোদাবক্স নামে এক ব্যাক্তিকে এমদাদুল হক সহ কয়েক জন ধরে নিয়ে এসে মারপিট করে হত্যা করে তৎকালীন কুশুম্বা ইউনিয়ন বোর্ডঘরে রেখে বাইরে থেকে তালা দিয়ে পালিয়ে যান। উপজেলা আ’লীগের সভাপতি হওয়ার আগে হত্যা মামলার আসামী হয়ে জেল ভোগ করেন। বেশ কয়েকবার জেল ভোগ করে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হন তিনি।
এরপর তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বাবু বিমল কুমার রায়ের স্থলাভিসিক্ত হন। ২০০৫ সালে উপজেলা আ’লীগের সভাপতি পদ লাভ করেন। এরপর পর থেকে তিনি সন্ত্রাসী ক্যাডার বাহিনী গড়ে মান্দায় দাপটের সাথে চষে বেড়াচ্ছেন। তার দাপটে উপজেলা আওয়ামী লীগ কিছুটা সামনের দিকে এগিয়ে যায়। কিন্তু গত ৮/৯ বছর থেকে তিনি একলা চল নীতি অবলম্বন করতে থাকেন। ক্ষমতার দাপটে ও বেপরোয়া চলাফেরায় ভয়ে এলাকায় কেউ কিছু বলার সাহস পায় না তার ও তার পোষা ক্যাডার বাহিনীর বিরুদ্ধে। এতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হওয়ায় ত্যাগী আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীরা তার উপর থেকে সব রকম আস্থা হারিয়ে ফেলেন। তিনি নানা রকম কৌশলে এবং তার পার্শ্বে ও সাথে থাকা কতিপয় ব্যাক্তিদের কু-পরামর্শে অবৈধ পন্থায় অবৈধভাবে টাকা হাতিয়ে নিয়ে নামে বেনামে অঢেল সহায়-সম্পদ অর্জনসহ মাত্র ৭/৮ বছরের ব্যবধানে উপজেলার কোটিপতি বনে গেছেন।
জোর পূর্বক উপজেলার সরকারি কর্মকর্তাদের তার কথা মত দায়িত্ব পালনে বাধ্য করা হতো এবং বর্তমানেও তা অবলীলায় করতে বাধ্য করা হয়ে থাকে বলে অনেকে মুখ ফুটে বলতে পারেন না। মান্দাবাসীর মুখে একটা প্রবাদ শুনা যায়- ‘উপরে আল্লাহ, নিচে মোল্লা, মাঝে পরে আমরা গড়াগড়ি খাচ্ছি সমান তালে’।
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী মুহাম্মদ ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক মান্দার জন্য যতগুলো বরাদ্দ পেয়েছেন সবগুলো মোল্লা এমদাদুল হককে দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সরকারি গুদামে ধান, চাল, গমসহ প্রায় সবকিছু মোল্লা নিজে এবং তার বাহিনীর সদস্যরা সরবরাহ করে থাকেন। পল্লী বিদ্যুতায়তনের সংযোগ দেয়ার নামে এলাকাবাসীর কাছ থেকে চুক্তিভিত্তিক টাকা নেয়া। এমনকি বিভিন্ন সরকারি পুকুর, দিঘী লিজ দেয়ার নামে উপজেলা থেকে এমদাদুল হক নিজ নামে নিয়ে নামমাত্র টাকা দিয়ে বেশি টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন জনের মধ্যে বন্দোবস্ত কওে দেন। যেন নিজেই বড় প্রশাসক সেজে বসেছেন।
এমদাদুল হক নিজেই উপজেলার প্রসাদপুর বাজারে ধানহাটির ৮০৭ দাগের জমি দখল করে দোকান নির্মাণ করেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ টাকায় এলাকার ছোটবেলালদহস্থ গ্রামে ৪টি, প্রসাদপুর বাজারের গোল চত্বরে (নির্মাণাধীন) ১টি, উপজেলা চত্বরের প্রধান রাস্তার দক্ষিণ পার্শ্বে ১টিসহ মোট ৮টি ২-৪ তলা বিশিষ্ট আলিশান সুদর্শন পাকা ফ্লাট বাড়ি নির্মাণ করেছেন। এছাড়া নোহা ও হাইচসহ ৪/৫টি গাড়ি রয়েছে তার ও পরিবারের ব্যবহারের জন্য।
বাবার সভাপতি পদের ক্ষমতার বলে ছেলে মহিদুল ইসলাম বাদশা ক্যাডার বাহিনীর মাধ্যমে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছেন। একটা প্রবাদ শোনা যায়- ‘আমি বাদশা, এই এলাকাই রাজত্ব চলবে শুধু আমার’। বাদশা তার রাজত্ব পরিচালনা করতে যা খুশি তাই করে যাবে। এ যেন মগের মুল্লুক! এলাকাবাসী তা দেখেও মুখ বন্ধ করে থাকে অজানা আতঙ্কে মান-সম্মানের ভয়ে। সহ্য করে থাকা ছাড়া যেন আর কোন উপায় নেই। কেউ কিছু বললে তাকে তার পোষা ক্যাডার বাহিনী জোরপূর্বকভাবে তার ধানহাটির কথিত টর্চার সেলে নিয়ে গিয়ে মারপিট করে অর্থ হাতিয়ে নেয়া সহ বাপ বয়সি মানুষকেও কান ধরে ওঠবস করতে বাধ্য করে থাকেন। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জোর পূর্বক চাঁদা আদায়, সরকারি জায়গা দখল। মান্দার সম্পন্ন বালুমহল ভোগদখল করে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন বাদশা। বিগত সময়ে একই এলাকার বড়বেলালদহ গ্রামের সাইফুল ইসলামের (বর্তমানে ইউপি সদস্য) ইজারাকৃত বালু মহাল জোরপূর্বক দখল করার অভিযোগ আছে। সেই বালু মহাল দখল করে প্রসাদপুর গ্রামের সন্ত্রাসী মোতাহার হোসেন ফকিরের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করতেন। এতে রাতারাতি তার পোষা বালু সন্ত্রাসী মোতাহার ফকিরও লাখ লাখ টাকা অবৈধভাবে হাতিয়ে নেয়।
প্রসাদপুর বাজারে গত এক বছর আগে ‘ফয়সাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টার’ এর প্রধান গেট খুলে না দেয়ায় ব্যবস্থাপনা পরিচালকের ‘নাভানা’ মাইক্রো বাস ভাঙচুর করে বাদশা। ব্যবস্থাপনা পরিচালক তার বাবাকে ভাঙচুরের অভিযোগ করায় বাদশা বাহিনীর ৫/৭ জন লোক এসে পরিচালকে তার সেই কথিত অফিসে উঠিয়ে নিয়ে যায়। যা স্থানীয়রা অবগত আছেন। পরে অবশ্য পরিচালকেই বাদশার কাছে ক্ষমা চাইতে হয়েছে। ওই ক্লিনিক হওয়ার পর দুইবারে ১লাখ ১০ হাজার টাকার মতো চাঁদা নিয়েছেন বাদশা। এছাড়া ২০১৫ সালের ১৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যার দিকে ওই ক্লিনিকের এক নার্সকে দিয়ে জোর করে বাদশার শরীর ম্যাসাজ করতে বলা হয়। এ নিয়ে পরিচালকের সাথে বাদশার ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরে নার্স ক্লিনিকের চাকুরি ছেড়ে দিয়ে চলে যান। ব্যবসায়ী সহ ক্লিনিক মালিকরা নিরবে বাদশার যত সব অত্যাচার মুখ বুজে সহ্য করে যান। এ নিয়ে তারা মুখও খুলতে নারাজ। কারণ মুখ খুললেই নাজেহাল হওয়া, নানা ভয়, মারপিট সহ হয়রানির সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
গত দুই বছর আগে রাত দুইটার দিকে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কাঁচিকাটা গেট খুলতে দেরী হওয়ায় কর্তব্যরত ডাক্তার সাইফুল ইসলাম এবং মেডিকেল এ্যাসিসটেন্ট জসিম উদ্দিনকে মারপিট করে বাদশা। পরে তারা বদলী হয়ে অন্যত্র চলে যান।
কিছুদিন আগে বাদশা প্রসাদপুর বাজারের সন্তোষ ও পরিতোষের পরিবারের ৩ শতাংশ জমি দখল করে বাড়ি নির্মাণ শুরু করলে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে উদ্ধার হয় ওই পরিবার।
প্রসাদপুর তোহা বাজারে অনেক দোকানীকে উচ্ছেদ করে এমদাদুল হকের ছেলে আবু রাশেদ মোল্লা ও জামাই নজরুল ইসলাম গণ-সৌচাগারের হাউসের উপরসহ আশপাশের সরকারী প্রায় ৭ শতাংশ জমি দখল করে ৭টি করে ১৪টি দোকানঘর নির্মাণ করেছে। প্রতিটি দোকানঘর ১-২ লাখ টাকা সিকিউরিটি দিয়ে এবং মাসে পাঁচশ থেকে এক হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে দোকান করে আসছে অনেকে। এমনকি নজরুল গণ-সৌচাগারের গেট পর্যন্ত দখল করেও ছোট্র দোকান করেছে। যেখানে মান্দা লাইব্রেরী,কাচা তরকারীর দোকান সহ ঝাল-পেঁয়াজের দোকান রয়েছে।
এমদাদুল হকের ছোট ছেলে ইমন মোল্লা পুরাতন ১০০সিসি ইয়্যামা মোটরসাইকেল ৩ হাজার টাকায় বিক্রি করেন এক ভাংরির দোকানে। সেখানে থেকে মোটরসাইকেল মেকার সুমন কুমার বাঁকীতে কিনে নেন। এ নিয়ে মোল্লার লোকজন যা ইচ্ছে তাই বলে গালাগালি করে। ২৫ ডিসেম্বর রোববার বাজার বণিক সমিতির বিচারে সুমন এবং ভাংরির দোকানিকে ক্ষমা চাইতে হয়। সুমন ক্ষোভের বসে বলেন, মোল্লার ছেলে যে দোষী সে নিয়ে কারো মাথাব্যাথা নাই। উল্টো আমাদেরই ক্ষমা চাইতে হয়েছে।
মাত্র ৮-৯ বছরের ব্যবধানে কোন আলাউদ্দিনের চেরাগের বলে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে বটগাছ বনে গেছেন এমদাদুল হক তা আজ সচেতন মান্দাবাসীর প্রশ্ন। দূর্নীতি করে অর্থ সম্পদের মালিক হলেও সেদিকে দুদকের কর্মকর্তাদের যেন কোন ভ্রুক্ষেপ নেই।
গত ১৭ ডিসেম্বর হিন্দু সম্প্রদায়ের ছেলে-মেয়ের মধ্যে বিয়েকে কেন্দ্র করে উপজেলার প্রসাদপুর বাজারে সন্ধ্যায় হঠাৎ করে মহিদুল ইসলাম বাদশা ও তার ক্যাডার বাহিনী উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক অনুপ কুমার মোহন্ত ও তার ছোট ভাই যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক গৌতম কুমার মোহন্তের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এছাড়া সন্ত্রাসীরা মোহন্ত অটোজে হামলা চালিয়ে ৩/৪টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করেছে। তারা সংখ্যালঘুদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে টিভি মেকার সাধনকে বেদম মারপিট করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে পরদিন উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মামলায় মহিদুল ইসলাম বাদশা, সুমন কুমার ঘোষ, সুবল কুমার, তৌফিকুজ্জামান পুটু,আশরাফুল ইসলাম, আব্দুল ওয়াহাব হিরার নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করা হয়। ২০ ডিসেম্বর সকালে বাদশাকে রাজশাহী জেলার মোহনপুর উপজেলা সদর এবং ভোরে সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর থানার শিমুলদীয়া বাজার থেকে সুমন ও আশরাফুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বর্তমানে তারা নওগাঁ জেল হাজতে আছেন। তবে মামলায় জামিনের প্রহর গুনছেন। ইতিমধ্যে কিছু মামলায় জামিনও পেয়েছেন। গত মঙ্গলবার বাদশা সব মামলায় জামিনে মুক্ত হয়েছেন। ফলে বাহিরে এসে আবার তান্ডবলীলার ভয়ে সংখ্যালঘুসহ স্থানীয়দের মধ্যে রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। কারণ তার ক্যাডার বাহিনী নানাভাবে ভয় দেখাতে শুরু করেছেন।
এলাকাবাসী আসলাম হোসেন টিপু নামে একজন বলেন, রাস্তাঘাট, ব্রীজ, কালভাট, পুলসহ যোগাযোগের মাধ্যমগুলোর বেহাল অবস্থা। আর এ অবস্থার জন্য দায়ী বর্তমান উপজেলা আ’লীগ ও যুবলীগ কমিটি। জনগণের মতে এটি হলো ব্যর্থ কমিটি। কমিটির ৯০ ভাগ নেতারা জনগণের মতে অযোগ্য। আর অযোগ্য নেতারা কি করে উন্নয়ন ঘটাবে। তারা সব সময় নিজের স্বার্থের কথা আগে ভাবে। তারা কখনো জনগণের কথা ভাবে না। এ মূর্হুতে মান্দার জনগণের সবচেয়ে বড় দাবী প্রসাদপুর পৌরসভা ও প্রসাদপুরখেয়াঘাটের ব্রীজ। তা আজ গণদাবী হলেও সেই আশা পূরণ হচ্ছে না ২০/২২ গ্রামের ২ লাখ অধিবাসীর। কারণ ঐ মোল্লা।
উপজেলা আ’লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান ক্ষোভের সাথে বলেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে সভাপতি নিজে ও তার ছেলে বাদশাকে দিয়ে দূর্নীতি লুটপাট, টেন্ডারবাজী, বালু মহল দখল, চাকুরি, নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে সিন্ডিকেট করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সভাপতি হওয়ার আগে যে ওষুধ খাওয়ার মত টাকা পেত না এখন সে বাড়ি-গাড়িসহ অঢেল অর্থ সম্পদের মালিক। তিনি আরো বলেন, এমদাদুল হক মোল্লা কখনোই আ’লীগ করেনি। সে রাজাকার পরিবারের সন্তান। তার চাচা আব্বাস আলী মোল্লা শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ছিল। তাকে ১৯৭১ সালেই মুক্তিযোদ্ধারা হত্যা করেছে।
উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল লতিফ শেখ বলেন, শিশু ও পাগল ছাড়া মান্দার সবাই বলবে তার দূর্নীতির পাহাড় সমান সম্পদ। অন্যায় ভাবে এ সম্পদ অর্জনে তার ন্যায্য বিচার হওয়া উচিত। বর্তমান সরকারের দু’দফায় সে এ সম্পদ অর্জন করেছে। তার সাথে সরাসরি বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী সম্পৃক্ত বলে তিনি দাবী করেন। শত বাধা বিপত্তি দিয়েও আমরা কিছু করতে পারিনি। কারণ উপরে তার অনেক বড় শক্তিশালী এক অদৃশ্য হাত রয়েছে।
সভাপতি মোল্লা মোহাঃ এমদাদুল হকের ব্যবহৃত মোবাইলে কয়েকদিন যাবৎ ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার কোন মন্তব্য বা বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
Posted ১০:৪৩ | বুধবার, ০৪ জানুয়ারি ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin