দেশের মানুষ এখন অত্যন্ত স্বস্তি ও শান্তিতে রয়েছে। সুতরাং এই মুহূর্তে কোনো সংলাপ বা নির্বাচনের প্রয়োজন নেই বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।  তিনি গতকাল শনিবার দুপুরে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট (একাংশ) আয়োজিত ‘শেখ হাসিনাই পারে, শেখ হাসিনাই পারবে’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন।  কামরুল বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন কোনো রাজনৈতিক সংকট নেই। আমরা কোনো সংকট দেখছি না। সংকট শুধু বিএনপি ও তাদের বিদেশি বন্ধুদের মুখে ও টিভি টকশোর মাধ্যমেই দেখি।’

তিনি বলেন, এই মুহূর্তে কোনো দলের সঙ্গে আলোচনার কোনো সুযোগ, সম্ভাবনা এমনকি প্রয়োজনও নেই। তবে সংলাপ হবে জনগণের সমস্যার সমাধানে। কারণ আগামীতে নির্বাচনে তাদের ভোটের প্রয়োজন আমাদের রয়েছে।  বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও বুদ্ধিজীবীদের সমালোচনা করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি একটি ষড়যন্ত্র পটিয়সী দল। ষড়যন্ত্রের মাধ্যমেই তাদের জন্ম হয়েছে। তিনি বলেন, একটি চক্র আমাদের বিদেশি বন্ধুদের কাছ থেকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। কিন্তু তা পারেনি। বিদেশি বন্ধুরা এখন আমাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন, সহায়তা করছেন।

কামরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী সমপ্রতি চীন ও জাপান সফর করেছেন। ভারতের সঙ্গেও আমাদের সম্পর্ক আরও ভাল হবে। বিএনপির উত্ফুল্ল হওয়ার কিছুই নেই। তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনাই পারে, শেখ হাসিনাই পারবে। সব সময়ই আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্রের দেওয়াল ভেদ করে এগিয়ে চলেছে। তবে ষড়যন্ত্র থেমে নেই। তাই নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’ মন্ত্রী বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার রায় কার্যকর না করতে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ফোন করেছিলেন। কিন্তু রায় কার্যকর করা থেকে শেখ হাসিনা বিরত থাকেনি। শেখ হাসিনা দেখিয়েছেন তিনিই পারেন।’

সংগঠনের সহ-সভাপতি অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সহ-সম্পাদক বলরাম পোদ্দার, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, সংগঠনের সহ-সভাপতি মোবারক আলী শিকদার, পীযূষ বন্দোপাধ্যায়, সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।