| মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল ২০১৪ | প্রিন্ট
নিজস্ব প্রতিনিধি, বার্মিংহাম : মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উৎযাপন উপলক্ষ্যে যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামে মক্তিযুদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধর সময়কার যারা প্রবাসে জনমত সৃষ্টি ও আন্দোলন সংগ্রাম করেছে সেই সব সংঘঠকদের তাদের স্ব স্ব অবদানের জন্য বিশেষ সম্মানানা প্রদান করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস)এর বার্মিংহাম শাখা ।
গত ৩০শে মার্চ রবিবার সন্ধ্যা ৬ টা বার্মিংহামের স্মলহিথের গোল্ডেন হিলক রোডের স্থানীয় একটি সেমিনার হলে বার্মিংহাম জাসাসের সভাপতি শাফি মিয়া আঙ্গুরের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী ফয়সল আহমদের পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সভাপতি শাইস্তাচৌধুরী কুদ্দুছ ।প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক কয়সর এম আহমদ ।
এ সময় বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ এ জনপদে জ্বলে উঠেছিল স্বাধীনতার অনির্বাণ শিখা। একাত্তরের মার্চ মাস শুরু হতেই স্বাধীনতাকামী জাতি শুরু করে আন্দোলন সংগ্রাম। ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে দেশজুড়ে বিক্ষোভ, উত্তাল রাজপথ, পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর সঙ্গে রাজনৈতিক নেতাদের সংলাপ, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরোচিত গণহত্যার মধ্য দিয়ে চলতে থাকে একেকটি দিন। সবাই চাচ্ছিলেন স্বাধীনতার ঘোষণা। ২৫ মার্চে অপারেশন সার্চ লাইটের পৈশাচিক গণহত্যার পর সেই দাবি আরও জোরালো হয়ে ওঠে। এরকম এক শ্বাসরুদ্ধকর মুহূর্তে চট্টগ্রামের ষোলশহরে অষ্টম ইস্ট বেঙ্গলে বাংলাদেশী সৈনিকদের নিয়ে বিদ্রোহ করেন তত্কালীন মেজর জিয়াউর রহমান। এরপর তিনি কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।
তারা বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ৪৩ বছর আগে এই দিনে বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় জাতিকে এনে দিয়েছিল আত্মপরিচয়ের একমাত্র ঠিকানা। স্বাধীনতা অর্জনের দীর্ঘ পথপরিক্রমা মোটেও কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের মার্চ মাসের অসহযোগ আন্দোলন ও ২৫ মার্চ ইতিহাসের বর্বরতম গণহত্যার পর ২৬ মার্চের সূর্যোদয় বয়ে এনেছিল বহু প্রতীক্ষিত স্বাধীনতা, এ দিনই সূচিত হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধ ।সভায় বক্তরা জিয়াউর রহমানকে দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি ও একমাত্র স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে অভিহিত করেন ।
জাসাসের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক সম্পাদক ও যুক্তরাজ্য জাসাসের সভাপতি এম এ সালামের উদ্বোধনের মধ্য দিযে শুরু হওয়া অনূষ্টানে মিডল্যান্ডসে বসবাসরত বিপুল সংখ্যক শিশু ও নারীদের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যনীয় ।
অনুষ্টানের শেষাংশে মুক্তিযুদ্ধা আব্দুল হামিদকে নিজের জীবন বাজি রেখে দেশের জন্য যুদ্ধ করার জন্য তাকে বিশেষ সম্মানা প্রদান এবং সাবেক রাষ্ট্রদূত ড. তজাম্মেল হক টনি, আব্দুর রশিদ ভূইয়া ও মিসেস ভূইয়া, মতছিম আলী সেতু মিয়া ও হাবিবুর রহমানকে প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে জনমত গঠনে তাদের অবদানের জন্য বিশেষ সম্মানে ভূষিত করা হয় ।
পরে শিশুদের বাংলা কবিতা আবৃত্তি, নৃত্য ও নান্দনীক অভিনয় এবং স্থানীয় সঙ্গিত শিল্পীদের মনমুগ্ধকর সঙ্গিত পরিবেশনায় আগত অতিথিদের মুহিত করে তুলে ।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন, যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সহ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, যুক্তরাজ্য জাসাসের সেক্রেটারী ইকবাল হুসাইন, যুক্তরাজ্যের সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক এমদাদ হুসেন টিপু, যুক্তরাজ্যের সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আবুল হুসেন, যুক্তরাজ্য বিএনপি’র যুগ্ম সম্পাদক নাসিমুজ্জামান হেলাল, যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সহ সভাপতি ও ওয়েষ্ট মিডল্যান্ডস বিএনপি’র আহবায়ক কাজী আঙ্গুর মিয়া, যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সুজাতুর রেজা, ফয়েজ উদ্দিন এমবিএ, বিএনপি নেতা হেভেন খাঁন, বিএনপি নেতা দেওয়ান আব্দুল বাসিত, যুবদল নেতা সোয়ালেহীন করীম চৌধুরী, রেজাউল ইসলাম বিল্লাহ, কামাল আহমদ, তরুন দলের যুগ্ম আহবায়ক সফররাজ সরফু, কায়সারুল ইসলাম সুমন প্রমুখ ।
Posted ২৩:৫২ | মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin