| রবিবার, ১২ জানুয়ারি ২০২০ | প্রিন্ট
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা বিভিন্ন প্রোগ্রামে বক্তব্য দিতে পারবেন, তবে ভোট চাইতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ।
তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশন (ইসি) আমাদের সাথে একমত হয়েছে। মুজিব বর্ষ উপলক্ষে নেতাকর্মীরা পাড়া-মহল্লা, থানাসহ প্রতিটি জায়গায় প্রোগ্রাম করতে পারবে। সেখানে মন্ত্রী-এমপিরা উপস্থিতি হতে পারবেন, বক্তব্য দিতে পারবেন, কিন্তু ভোট চাইতে পারবেন না।’
রোববার (১২ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস’ উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশনে গিয়েছি, সমন্বয়ক বলে কোনও কথা নেই। সিটি নির্বাচনে আমরা আচরণবিধি লঙ্ঘন করবো না। তবে নির্বাচন কমিশন আমাদের সাথে একমত হয়েছে, বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকীর ক্ষণগণনা যেহেতু গ্রাম, পাড়া-মহল্লা, থানা, জেলাসহ সকল পর্যায়ে পালন করা হবে সেহেতু সেখানে নেতাকর্মীরা বক্তব্য দিতে পারবেন, কিন্তু ভোট চাইতে পারবেন না। এমপিরাও ভোট চাইতে পারবেন না।’
বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের স্মৃতিচারণ করে তোফায়েল বলেন, ‘তার মত বিচক্ষণ নেতা বিরল। দেশের মানুষের জন্য, মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য জীবনের মূল্যবান ১৩ টি বছর তিনি পাকিস্তানের কারাগারে কাটিয়েছেন। দেশ স্বাধীন করার পর ৩ বছর ৭ মাসেই যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের অনেক রাস্তাঘাট, ব্রিজ নির্মাণ করেছিলেন এবং দেশ স্বাভাবিক হয়েছিল। কিন্তু কুচক্রী মহল তাঁকে তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে দেয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর দুটো স্বপ্ন ছিল- দেশ স্বাধীন করা এবং দেশকে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সুন্দর সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলা। আজ তার অনুপস্থিতিতে তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে কাজ করে যাচ্ছেন তারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা। আমাদের সকলের উচিত শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে বাংলাদেশকে সুন্দর সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলার সুযোগ দেয়া।’
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, যারা এখনো বঙ্গবন্ধুকে মেনে নিতে পারেনি তাদের বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই। বঙ্গবন্ধুকে যতদিন তারা না মানবে, ততোদিন তারা বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারবেনা। এটাই সকলের শপথ হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, সাড়ে তিন বছরে বাংলাদেশের যতটুকু পুনর্গঠন সম্ভব সেটা বঙ্গবন্ধু করে দিয়ে ছিলেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় যে বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষকে বঙ্গবন্ধু হৃদয়ে স্থান দিয়েছিেেলন, সেই বাংলাদেশেই কিছু কুচক্রী মহল তাঁকে হত্যা করেছে। পাকিস্তানীরা যেটা পারেনি এই কুচক্রীরা সেটা করেছে।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা না থাকলে আজকে হয়তো বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারও পেতাম না। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল সোনার বাংলা গড়ার। বঙ্গবন্ধুর কাছে জাতির অনেক ঋণ। এখন সেই ঋণ শোধ করার সময় এসেছে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন পূরণ করার মাধ্যমে এ ঋণ শোধ করতে হবে ।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে সোনার বাংলা গড়তে হবে। আর তাকে হত্যার কলঙ্ক মোচন হবে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিচার জাতি পেয়েছে।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি তারানা হালিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় পিএসসি’র সাবেক চেয়ারম্যান ইকরাম আহমেদ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সিনিয়র সহ-সভাপতি ড. এনামুল হক, জোটের কেন্দ্রীয় নেতা ইন্দ্রমোহন রাজবংশী, অভিনেতা মাসুম আজিজ, চিত্রনায়ক রিয়াজ ও কন্ঠশিল্পী শুভ্র দেব বক্তব্য রাখেন।
Posted ১৭:১৫ | রবিবার, ১২ জানুয়ারি ২০২০
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain