| শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল ২০১৭ | প্রিন্ট
জঙ্গি নির্মুল ও তাদের গ্রেপ্তারের জন্য গঠন করা হয় পুলিশের পৃথক সেল ‘কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট’ (সিটিটিসি)। এক বছর আগে পথচলা শুরু করা গুরুত্বপূর্ণ এই ইউনিটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মনিরুল ইসলাম। ইতোমধ্যে জঙ্গিবিরোধী বেশ কয়েকটি সফল অভিযান পরিচালনা করে জনগণের আস্থা অর্জন করেছে সিটিটিসি। এসব অভিযানে কোথাও জঙ্গিরা নিহত হয়েছেন। আবার কোথাও তাদের জীবিত গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে।
অভিযান চালাতে গিয়ে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যও নিহত হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দেশব্যাপী জঙ্গি নির্মুলে তারা একের পর এক অভিযান চালাচ্ছেন। আর এসব অভিযানে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছেন কাউন্টার টেরোরিজম ও সোয়াট সদস্যরা।
জঙ্গিবিরোধী যতগুলো অভিযান হয়েছে তার বেশির ভাগেই ঘটনাস্থলে ছিলেন সিটিটিসির প্রধান মনিরুল ইসলাম। তবে দেশের বাহিরে থাকায় চলতি সপ্তাহে ইউনিট প্রধান মনিরুল ইসলামকে ছাড়াই জঙ্গিবিরোধী দুটি সফল অভিযান পরিচালনা করেছে সিটিটিসির সদস্যরা। এর মধ্যে ঝিনাইদহের আস্তানা থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হলেও কাউকে আটক করা যায়নি। এ ছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার আস্তানায় অভিযানে চার জঙ্গি মারা যায়। দুটি অভিযানেই কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পাশাপাশি পুলিশ ও সোয়াট সদস্যরাও যোগ দেয়।
এই দুটি অভিযানে থাকতে না পারলেও সফল অভিযান চালানোয় ইউনিটের সদস্যদের প্রতি দারুণ খুশি মনিরুল ইসলাম। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ওয়ালে দেয়া স্ট্যাটাসে তিনি সহকর্মীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুকে দেয়া তার স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো-
‘১৬/০২/২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে ‘কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম’ ইউনিটের প্রধান হিসেবে আমাকে বদলি করা হয়।যোগদানের পর প্রায় দুই সপ্তাহ আমি এই ইউনিটের একমাত্র সদস্য ছিলাম! তারপর এক/দু’জন করে সদস্য যোগদান করতে থাকেন। মে মাসের মাঝামাঝি সদস্য সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ৩৫০ যদিও তখন পর্যন্ত কোন ডিসি পর্যায়ের কর্মকর্তা যোগদান করেন নাই! এডিসি/এসিদের নিয়ে কাজ শুরু করি! শুরু থেকেই আমার প্রয়াস ছিল এই ইউনিটকে ব্যক্তিনির্ভর না করে সিস্টেম নির্ভর করা!
গত সাত (৭) দিন আমি দেশের বাইরে কিন্তু এই সাতদিনে এই ইউনিট আমার অনুপস্থিতিতেই দু’টো অভিযান পরিচালনা করলো অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে! তা’হলে কি সিস্টেম কাজ করতে শুরু করেছে!
যেহেতু ইউনিটটি নতুন তাই কোন সুবর্ণ অতীত নাই যা নিয়ে জাবর কাটা যায়, আমাদের আছে শুধু বর্তমান এবং ভবিষ্যতকে বসবাসযোগ্য রাখার নিরন্তর প্রয়াস! এই ইউনিটের সদস্যদের বসার কোন অফিস নাই, কোন রকম জৌলুসতো দূরের কথা বরং হৃদয়বানদের দান করা গাড়িগুলোতেই তাঁরা বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অভিযানে ছুঁটে যাচ্ছে! শুধুমাত্র দেশপ্রেম এবং পেশাদারিত্বের কারনেই নানারকম সীমাবদ্ধকে ছাপিয়ে প্রান হাতের মুঠোয় নিয়ে কাজ করছেন এই ইউনিটের সদস্যরা!!! আমি এই ইউনিটের সকল সদস্যকে আবারও স্যালুট করছি!!!
Posted ০৮:৫৩ | শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain