| শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারি ২০১৭ | প্রিন্ট
প্রায়ই চমকে দিতে পছন্দ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গোপালগঞ্জে নিজ গ্রামে গিয়েও তিনি আরেকবার এই কাজটি করলেন। সকাল বেলায় টুঙ্গীপাড়াবাসীর চোখ ছানাবড়া। সরকার প্রধান ঘুরছেন রিকশা ভ্যানে করে। ঘোর কাটছিল না এলাকাবাসীর। ভুল দেখছেন না তো? কিন্তু তা কী করে হয়? দেখছেন যে হাজারো মানুষ। সবাই তো আর ভুল করতে পারেন না।
ভ্যানে একা ছিলেন না শেখ হাসিনা। ছিলেন তার ছোট বোন শেখ রেহানার ছেলে রেদোয়ান মুজিব সিদ্দিকী ববি তার স্ত্রী পেপি কিভিনিয়াম সিদ্দিক এবং তাদের দুই সন্তান।
বৃহস্পতিবার দুই দিনের সফরে গোপালগঞ্জ যান প্রধানমন্ত্রী। সকালে একাদশ জাতীয় রোভার মুট-এ যোগ দেন তিনি। এই আনুষ্ঠানিকতা শেষে কিছুটা সময় নিজের জন্য করে পান শেখ হাসিনা। নিজ বাড়িতে স্বজনদের সঙ্গে সময় কাটান তিনি।
রাজনীতি আর রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতায় শেখ হাসিনার প্রতিটি মুহূর্ত কাটে নিদারুণ ব্যস্ততায়। নিজের জন্য সময় করা হয়ে উঠে না তেমন একটা। এর মধ্যে ১২ বছর পর গ্রামে গেলেন রাত কাটাতে।
প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একজন জানান, সকালে তিনি গ্রাম দর্শনে বের হওয়ার ইচ্ছার কথা বলেন। বেলা ১০টার দিকে তিনি বের হন স্বজনদেরকে নিয়ে।
মাজার কমপ্লেক্সের পাশে হেলিকপ্টার অবতরণ স্থলের পাশে একটি বাড়ি নির্মাণ হচ্ছে। কাঁচা রাস্তা পেরিয়ে ভ্যানে চেপে তিনি যান সেখানে। ওই বাড়িতে কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে শেখ হাসিনা আবার ফেরেন তার পারিবারিক বাসভবনে। তবে এবার ভ্যানে চেপে নয়, তিনি ফেরেন হেঁটে। এ সময় দেখা হয়, কথা হয় এলাকার বেশ কয়েকজনের সঙ্গে।
১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর এই টুঙ্গীপাড়া গ্রামে জন্ম শেখ হাসিনার। এখানেই বেড়ে উঠা। দুরন্ত এক শিশুকে কে না ভালোবাসবে? তা তিনি যদি হন আবার শেখ মুজিবের কন্যা? ভালোলাগার পারদ গিয়ে কোথায় ঠেকে তার ইয়ত্তা আছে?
গ্রামের মানুষ আদর করে ডাকতো হাসু বলে। আদরের সেই মানুষটি যথন দেশের সরকারপ্রধান তখন, তার কাছে যাওয়া খুব একটা সহজ হয় না। এই প্রজন্মের মানুষরা তাই কাছ থেকে প্রিয় হাসুকে দেখেছেন কমই। তবে এবার তারা দেখলেন বিস্ময় ভরা চোখে।
Posted ০৯:৫৯ | শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারি ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain