বুধবার ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

ভোটার দিবস পালিত হচ্ছে, এটা অত্যন্ত হাস্যকর ও তামাশার

  |   শুক্রবার, ০১ মার্চ ২০১৯ | প্রিন্ট

ভোটার দিবস পালিত হচ্ছে, এটা অত্যন্ত হাস্যকর ও তামাশার

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, জনগণ ভোট দিতে পারে নাই, ভোটের অধিকার হরণ করা হয়েছে, সেখানে আজকে বাংলাদেশ সরকার ভোটার দিবস পালন করছে। এটা অত্যন্ত হাস্যকর ও তামাশার।

শুক্রবার (১ মার্চ) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের ৪০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

উল্লেখ্য, পহেলা মার্চ সারাদেশ পালিত হচ্ছে জাতীয় ভোটার দিবস ।

এ প্রসঙ্গে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আজকে জনগণ আশ্চর্যান্বিত। পরপর দুটি ঘটনা। জনগণ ভোট দিতে পারে নাই, ভোটের অধিকার হরণ করা হয়েছে, সেখানে আজকে বাংলাদেশ সরকার ভোটার দিবস পালন করছে। এটা অত্যন্ত হাস্যকর ও তামাশার। ভোটার যেখানে ভোট দিতে পারে না সেখানে আজকের স্লোগান হচ্ছে, ভোটার হোন ভোট দিন। এই সরকারই ভোটের অধিকার হরণ করে আবার ভোটার দিবস পালন করে।

তিনি বলেন, ডিএনসিসি মেয়র পদে উপনির্বাচনে জাপার যিনি প্রার্থী ছিলেন তিনিই (শাফীন আহমেদ) প্রধান বিরোধী দল। তিনি মিডিয়ার মাধ্যমে বলেছেন, তিনি প্রায় ৪০ টি কেন্দ্রে গিয়েছিলেন, ভোটার দেখেন নাই, শতকরা ৫ শতাংশ ভোটও পড়ে নাই। এটাই সত্যি। অর্থাৎ দেশের জনগণ একাদশ সংসদ নির্বাচনে এই সরকারের, প্রশাসনের যে চিত্র দেখছে এতে ভোটের প্রতি তাদের অনাস্থা হয়ে গিয়েছে। এর প্রতিবাদ স্বরূপ জনগণ গতকাল ভোট কেন্দ্রে যায় নাই।

তিনি আরও বলেন, এই সরকার, এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে আর কোন নির্বাচনকে জনগণ বিশ্বাস করে না। সেটা গতকাল ভোটকেন্দ্রে না গিয়ে প্রত্যাখ্যান করে প্রমাণ করেছে।

বিএনপির এ নেতা বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে উপ নির্বাচনে গতকাল আমরা একটা নাটক দেখলাম। ভোটাররা ভোট দিতে যায়নি, কেউ ভোট দিতে দেখেনি। আমরা পত্র পত্রিকায় দেখেছি যে, যারা ভোটের দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিল তারাও আশ্চর্যান্বিত হয়েছে কেন ভোটার নেই। শুধুমাত্র সিটি কর্পোরেশনের নতুন ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন হয়েছে সেখানে কিছু ভোটার ছিল। অথচ দেখা গেলো আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম ৮ লাখ ৩৯ হাজার ভোট পেয়েছে। এটা কোথা থেকে আসলো? এটা আজকে প্রশ্ন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের কাছে পরিষ্কার যে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেভাবে ভোট ডাকাতি হয়েছিল জনগণের ভোট দেয়ার প্রয়োজন হয় নাই। ভোট হয়েই গিয়েছিল। ৯০ শতাংশ ভোট তারা দিয়েছিল। একই প্রক্রিয়ায় সিস্টেমের মাধ্যমে ৩১ শতাংশ ভোট সম্পন্ন করেছে এই সরকার।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. খন্দকার মোশাররফ বলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে আমরা পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানিয়েছি। আর খুব শিগগির এই সরকারের পতন ঘটিয়ে নির্বাচনে যাবো।

এসময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম মাহতাব ও সদস্য সচিব আব্দুর রহিমসহ দলটির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৫:১২ | শুক্রবার, ০১ মার্চ ২০১৯

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com