বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের মানুষকে বিপদে ফেলে এ সময়ে ভারতে গিয়ে ‘ন্যায্য হিস্যা’ আদায় করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করতে পারেননি, সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে পারেননি। বরং পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে কথা বলেছিলেন- ক্ষমতায় টিকে থাকতে দেন-দরবার করতে গিয়েছেন তিনি।

আজ (৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগর বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন তিনি। পরে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ মহিলা দলের নেতৃবৃন্দকে নিয় ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

রিজভী বলেন, দেন-দরবার করতে গিয়ে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব কতটুকু বিক্রি করছেন এটাই এখন প্রশ্ন। প্রধানমন্ত্রী কি করছেন এবং কতটুকু সার্বভৌমত্ব বিক্রি করে নিজের অবৈধ ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন তা দেখার জন্য জনগণ এখন তাকিয়ে আছে।

বিএনপির মুখপাত্র বলেন, নিত্যপণ্যে মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আক্রমণ করছে। প্রতিনিয়ত প্রতিমুহূর্তে, গতকালও নাটোরের লালপুরে হামলা করা হয়েছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর আক্রমণ করেই তারা ক্ষান্ত দেননি। আক্রমণ করে কারও চোখ চলে যাচ্ছে কেউ পুঙ্গুত্ব বরণ করছে। ইতোমধ্যে তিনজনের জীবন কেড়ে নেওয়া হয়েছে। মামলা দেওয়া হচ্ছে, শত শত নেতাকর্মী ঘর-বাড়ি ও গ্রাম ছাড়া হয়েছে এবং হচ্ছে।

মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে মর্টার শেল পড়ার সমালোচনা করে রিজভী বলেন, এটা নির্বাচিত সরকার নয়। ভিত্তি নেই বলেই অত্যন্ত দুর্বল ও নতজানু পররাষ্ট্রনীতি। না হলে এই পরিস্থিতির যে একটা শক্ত ভাষা, সেই ভাষাটাও পররাষ্ট্রমন্ত্রী বা সরকারের কেউ দিতে পারছে না। কারণ একদিকে তাদের সমর্থন নেই। অন্যান্য দেশের সমর্থনে তাদের টিকে থাকতে হয়। এ কারণে তারা পারছে না, নতজানু হয়ে থাকছে। আজকে যদি নির্বাচিত সরকার হতো, তাহলে জোরালো প্রতিবাদই তাদের ভাষা হতো। সার্বভৌমত্ব এখানে লঙ্ঘন হচ্ছে, কিন্তু শক্ত জোরালো কোনো প্রতিবাদ হচ্ছে না।

এ সময় মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, দক্ষিণের আহ্বায়ক রুমা আক্তার ও সদস্য সচিব নাসিমা আক্তার কেয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।