| বৃহস্পতিবার, ০৮ অক্টোবর ২০২০ | প্রিন্ট
ভবিষ্যতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশালীন কনটেন্ট আপলোড হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের বার্ষিক প্রতিবেদন গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে তিনি এ কথা জানান।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক অশালীন কনটেন্ট আপলোড হয়। আমাদের মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে, যাতে তারা নিয়ম-নীতি মানে। এ ধরনের কনটেন্ট আপলোড না করে। এক্ষেত্রে আমাদের সবার সম্মিলিতভাবে কাজ করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। পাশাপাশি এ ধরনের কনটেন্ট যদি ভবিষ্যতে আপলোড হয় তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, দেশে ইদানীং যে অনৈতিক ঘটনা ঘটছে বিশেষ করে নারী, শিশু নির্যাতনসহ নানা অপকর্ম- সেগুলোর ব্যাপারে কঠোর শাস্তি দিতে সরকার বদ্ধপরিকর। তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গ্রেপ্তারসহ আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রতিবাদ হবে, হওয়াটা স্বাভাবিক এবং প্রতিবাদ হলে সরকারের পক্ষে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া সহজ হয়। কিন্তু এই প্রতিবাদ করতে গিয়ে যারা সরকারের পদত্যাগ চায় বা প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে নানা মন্তব্য করে তখন বুঝতে হবে এদের উদ্দেশ্য নারী ও শিশু নির্যাতনকারীদের শাস্তি দেওয়া নয়। তাদের উদ্দেশ্য এই ইস্যুর আড়ালে তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করা। এটি আসলে এই ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা। এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে যেহেতু কোনো রাজনৈতিক ইস্যু নেই, তাই অন্য কোনো ইস্যু ধরে বিরোধীদল ও বিএনপিসহ অন্য কিছু গোষ্ঠী দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা অতীতেও চালিয়েছে। যারা এই নারী নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। আমি মনে করি আন্দোলন হওয়া ভালো। এগুলোর প্রতিবাদ হলে সরকারের পক্ষেও ব্যবস্থা নেওয়া সহজ হয়। কিন্তু সেটার মধ্যে যখন রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে আসা হয়, সরকারের পদত্যাগের দাবি করা হয় তখন বুঝতে হবে তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে নারী নির্যাতনকারীদের শাস্তি দেওয়া নয় তাদের উদ্দেশ্য ভিন্ন। আমি এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনা সব সময় হয়ে আসছে। আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছিল না। ফলে অনেক ঘটনা ঢাকা পড়ে থাকতো। নোয়াখালীর ঘটনাটিও ঢাকা পড়ে যেত যদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে না আসতো। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসার পর টেলিভিশনসহ অন্য মিডিয়া স্বক্রিয় হয়েছে। প্রথমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসেছে। অবশ্যই এগুলো অনভিপ্রেত।
নারী ও শিশু নির্যাতন রোধে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বহু আগে থেকে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছে। একই ক্ষেত্রে নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ও কাজ করে যাচ্ছে। আমি মনে করি আজকের পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে সেটা আরো জোরদার করা প্রয়োজন।
Posted ২১:২৭ | বৃহস্পতিবার, ০৮ অক্টোবর ২০২০
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain