| রবিবার, ০১ জানুয়ারি ২০১৭ | প্রিন্ট
নতুন বছর ২০১৭ সাল উপলক্ষে দেশবাসী, প্রবাসী বাঙালিসহ বিশ্ববাসীকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৭ সাল শুরুর আগে শনিবার তিনি এ শুভেচ্ছা জানান।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব মো. নজরুল ইসলাম সংবাদ মাধ্যমে এ শুভেচ্ছা বাণী পাঠান।
শুভেচ্ছা বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পুরাতন বছরের সব জঞ্জাল ধুয়ে-মুছে যাক নতুনের আহ্বানে। আমাদের জীবনে অনাবিল সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনুক নতুন বছর। মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে এ প্রার্থনা করছি।’
‘আসুন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা করি। সবাই মিলে একটি অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলি। প্রতিষ্ঠা করি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা।
তিনি বলেন, ‘দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন, সংবিধান ও গণতান্ত্রিক ধারা রক্ষা এবং জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত করার ক্ষেত্রে ২০১৬ সাল বাঙালি জাতির ইতিহাসে একটি গৌরবোজ্জ্বল বছর। অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গত বছর ছিল বাংলাদেশের জন্য সাফল্যময় বছর।’
সরকারের বিভিন্ন সাফল্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার পরিমাণ তিন গুণের অধিক বৃদ্ধি পেয়ে ১৫ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বাংলাদেশের অর্থনীতির অগ্রযাত্রাকে একটি বিশাল অর্জন বলে আখ্যায়িত করেছে। তারা আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনারও প্রশংসা করেছে। আমরা সুশাসন প্রতিষ্ঠা করেছি।’
‘গত বছর সামষ্টিক অর্থনীতির প্রতিটি সূচক ছিল ইতিবাচক। সাত শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩২ মিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে। বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে ৩৪.২৪ ডলারে পৌঁছেছে। গত আট বছরে ৫ কোটির বেশি মানুষ নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্তে উঠে এসেছে। বর্তমানে মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৪৬৬ ডলার। চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। নতুন সমুদ্র বন্দর পায়রা বন্দরের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মেট্রোরেল ও বিআরটি প্রকল্পের কাজ চলছে। জয়দেবপুর-ময়মনসিংহে ও ঢাকা-চট্টগ্রামে চার লেন চালু হয়েছে। ২০১৮ সালে পদ্মা সেতুতে যানবাহন চলবে।’
শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতের সাফল্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রাথমিক শিক্ষায় প্রায় শতভাগ ভর্তি নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে। শিক্ষার হার ৭১ শতাংশ। জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে প্রায় ১৬ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও স্থানীয় স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াতের সব বাধা ও ষড়যন্ত্র ছিন্ন করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে। একের পর এক বিচারের রায় কার্যকর হচ্ছে। আমরা জাতির প্রত্যাশা অনুযায়ী সব যুদ্ধাপরাধীকে বিচারের আওতায় আনব এবং শাস্তি কার্যকর করব। জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে আমাদের সরকার জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করে যাচ্ছে। গত নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করেছি। অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলের সুযোগ বন্ধ করেছি। নির্বাচিত ব্যক্তিরাই দেশ পরিচালনা করবে- এ পদ্ধতি নিশ্চিত করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল। ২০২১ সালের আগেই আমরা বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করব, ইনশাআল্লাহ।
Posted ০৭:৩৪ | রবিবার, ০১ জানুয়ারি ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain