| রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০১৪ | প্রিন্ট
ঢাকা: দীর্ঘ নয় বছর পর কাউন্সিলের মাধ্যমে ঢাকা মহানগর শ্রমিক দলের নতুন কমিটি হওয়ার কথা ছিল। সে অনুযায়ী শুরুও হয়েছিল কাউন্সিলের কার্যক্রম। কিন্তু হঠাৎ মহানগর দক্ষিণের সভাপতি পদে আগ্রহী নেতার সমর্থকদের অনুষ্ঠানস্থলের বাইরে ভাঙচুর আর বিশৃঙ্খলায় বন্ধ হয়ে যায় কাউন্সিল অধিবেশন। পরে সিদ্ধান্ত হয় নির্বাচনের মাধ্যমেই গঠিত হবে রাজধানী ঢাকার দুই অংশের নতুন কমিটি। নির্বাচনের জন্য আগামী ১৬ এপ্রিল বুধবার দিন ধার্য করে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটি।
রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শনিবার সকালে শুরু হয় মহানগর শ্রমিক দলের ৬ষ্ঠ কাউন্সিল ও সম্মেলন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বেলা দুইটার দিকে তিনি বক্তব্য শেষ করে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন।
পরে মধ্যাহ্ণ ভোজের পর শুরু হয় কাউন্সিল অধিবেশন। এর আগে কাউন্সিলার ছাড়া বাকি সবাইকে হলরুমের বাইরে যাওয়ার জন্য বলা হয়। সম্মেলনে উপস্থিত বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কাউন্সিল অধিবেশন শুরুর পর মহানগর উত্তর এবং দক্ষিণের সভাপতি- সাধারণ সম্পাদক হতে আগ্রহী নেতাদের কেউ কেউ তাদের সমর্থকদের নিয়ে মিছিলসহ হল রুমের মধ্যে ঢুকে যায়। এসময় মঞ্চ থেকে কাউন্সিলার ছাড়া বাকিদের বের হয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়। এতে জাতীয় ঘাট শ্রমিক দলের নেতা ও দক্ষিণের সভাপতি প্রার্থী সুমন ভুঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী পিডব্লিউডির নেতা বদরুল আলম সবুজের সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে বাইরে চলে আসেন।
পরে তারা ‘ভুয়া’ কাউন্সিলার বানানো হয়েছে এমন অভিযোগ করে হল রুমের বাইরে বিক্ষোভ করেন। এসময় তারা ডেকোরেটরের প্রায় একশ প্লাস্টিকের চেয়ার ভাঙচুর করেন। পরে সম্মেলন স্থগিত করে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন কমিটি করার কথা ঘোষণা দেয়া হয়।
জানা গেছে, নির্বাচনের জন্য শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক জাফরুল হাসানকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি সাব কমিটি করা হয়েছে। রোববার এই কমিটি নয়াপল্টনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তফসিল ঘোষণা করবেন। একই দিনে প্রার্থীরা মনোনয়ন ক্রয় ও বাছাই শেষ করে প্রার্থীতা ঘোষণা করা হবে। পরে বুধবার নির্বাচন হবে।
তবে এর মধ্যে নিজেদের মধ্যে সমাধান করা গেলে নির্বাচন নাও হতে পারে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সভাপতি প্রার্থী। এ বিষয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে একাধিক নেতা স্বাধীনদেশ ডটকমকে বলেন, “কাউন্সিলে বিশৃঙ্খলার ঘটনা দুঃখজনক হলেও এতে ভালোই হয়েছে। কারণ নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের মতো সিদ্ধান্ত এসেছে। এখন যোগ্যরাই নির্বাচিত হবে। এতে কোনো অভিযোগও থাকবে না।”
এর আগে দুপুরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খালেদা জিয়াও শ্রমিক দলের নেতাদের উদ্দেশে বলেছিলেন, “বন্ধু আর ভাই দেখার সুযোগ নেই। যারা আগামী দিনে রাজপথের আন্দোলনে সব ধরণের ঝুঁকি নিতে পারবে তাদের দিয়ে নতুন কমিটি করতে হবে।”
Posted ১৩:০৩ | রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin