| শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি ২০২০ | প্রিন্ট
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে বিএনপি’র মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন বলেছেন, আজকের দিন আমার জন্য অবশ্যই গর্বের। আমার জীবনের স্মরণীয় দিন। আজ আমার বাবা বেঁচে থাকলে অবশ্যই আমার জন্য গর্ববোধ করতেন।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর গোপীবাগের সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টারে অবস্থিত ডিএসসিসি নির্বাচনের রির্টানিং কর্মকর্তার অস্থায়ী কার্যালয়ে প্রতীক বরাদ্দ শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ইশরাক বলেন, আমার বাবা দীর্ঘ ৩৫ বছর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির রাজনীতি করেছেন এবং ১৯৯১ সালে প্রথম ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছিলেন। সেই ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মেয়র পদের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ পদে নির্বাচন করার জন্য দল আমাকে সমর্থন দিয়েছে। আমি আশা করছি আমার দলের যে প্রত্যাশা, সেটা আমি অবশ্যই পালন করবো। আপনারা আমার জন্য এবং আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন।।
বিএনপি মনোনীত এই মেয়রপ্রার্থী বলেন, গত তিনদিন আগে ইসিতে লিখিতভাবে অভিযোগ দিয়েছি, আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থীর বিরুদ্ধে। ইসি কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, কালবিলম্ব করছে। তাদের অবস্থা আমরা বুঝি। তাদের সেই ক্ষমতা নেই। এনিয়ে আমরা বিচলিত নই, পরোয়া করি না। আমরা আচরণবিধি মেনে চলছি।
এসময় নির্বাচন কমিশন (ইসি) মেরুদণ্ডহীন ও নখদন্তহীন বাঘ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের ইসিতে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়ার অনুমতি প্রসঙ্গে ইশরাক হোসেন বলেন, এসব মিডিয়ায় কথা বলার অজুহাত। তারা প্রচারণা করছেন, ঘরোয়া বৈঠকেও অংশ নিচ্ছেন। আমাদের কাছে সব তথ্য আছে। আমরা তো এক শহরে বাস করি, ভিনগ্রহে বাস করি না।
তিনি আরও বলেন, বাবা (সাদেক হোসেন খোকা) বেঁচে থাকলে নিশ্চয়ই আমার জন্য গর্ববোধ করতেন। তিনি ৩৫ বছর বিএনপির রাজনীতি করেছেন। ১৯৯১ সালে প্রথম নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করেছেন। সেই প্রতীক নিয়ে আমি মেয়র পদে নির্বাচন করছি। দলের প্রত্যাশা পূরণ করবো। আমার বাবা, দেশবাসী ও আমার জন্য দোয়া করবেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইশরাক হোসেন বলেন, এই নির্বাচন কমিশন একটি মেরুদণ্ডহীন, দন্তহীন বাঘের ভূমিকায় রয়েছে। তিনদিন আগে তাদেরকে আমি একটি লিখিত দিয়েছি। আমার যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী তার নামে বহু রঙিন পোস্টারে ঢাকার দক্ষিণে সয়লাব হয়ে গেছে। আমরা প্রমাণসহ একটি অভিযোগ দিয়েছিলাম। তারা কোনো পদক্ষেপ নেননি। আমিও তাদের (রিটার্নিং কর্মকর্তাদের) অবস্থা বুঝি, তাদের আসলে কিছু করার নেই। তাদের সেই ক্ষমতাটাও নেই, সাহস নেই। এ নিয়ে আমরা মোটেও বিচলিত না। আমরা পরোয়া করি না, আমরা তোয়াক্কা করি না। আমরা আমাদের কাজ করে যাবো। নির্বাচনী আচরণবিধি আমরা মেনে চলেছি।
Posted ২০:৫২ | শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি ২০২০
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain