| মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | প্রিন্ট
ব্যবসা-বাণিজ্য সহজীকরণে ‘কোম্পানি (সংশোধন) বিল-২০২০’ নামে একটি বিল জাতীয় সংসদে পাস করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করা হলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এরআগে বিলটির ওপর বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও বিএনপি সদস্যদের আনা জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব নাকোচ হয়ে যায়।সংসদে এ বিল পাসকে কেন্দ্র করে বেশ হাস্যরসের সৃষ্টি হয়।
সংশোধনী প্রস্তাবের ওপর আলোচনা করতে গিয়ে বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, ‘বাণিজ্যমন্ত্রীকে ব্যক্তিগতভাবে আমি খুব পছন্দ করি।’ এসময় উপস্থিত সকল সংসদ সদস্য হাসতে থাকেন।
রুমিন ফারহানা বাণিজ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ওনি চমৎকার কথা বলেছেন। টাকা পাচার নিয়ে ওনি (বাণিজ্যমন্ত্রী) একটা কথা বলেছেন, মুশকিল হল যতক্ষণ অপরের দিকে তাকিয়ে থাকব, ততক্ষণ পর্যন্ত আয়নায় নিজের মুখ দেখব না, এটাই স্বাভাবিক।
বাণিজ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করব ওনি যদি একটু আয়নার দিকে তাকান এবং গ্লোবাল ফাইনান্স ইউকিউটি রিপোর্ট দেখেন তাহলে স্পষ্ট হয়ে যাবে টাকা পাচারের বিষয়টা কি?’
জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, আমাকে আয়নায় চেহারা দেখতে বলেছেন। আমার যা রং, চেহারাও আমার সুবিধার না। সেটা আমি খুব ভাল করেই জানি। টাকা পাচারের ব্যাপারে সরকার অত্যন্ত সচেতন।
এ সময় কচুরিপানা খাওয়া নিয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রীকে নিয়ে সমালোচনা করে বক্তব্য রাখেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ। এর জবাবে বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, আজ থেকে ৪০-৪৫ বা ৫০ বছর পূর্বে তখন ঢাকাতে কেউ কচুরলতি খেত না। কিন্তু আজকে কচুরলতি একটা খুব সুস্বাদু এবং প্রয়োজনীয় তরকারি হিসাবে চালু হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা চা খাই চা পাতা দিয়ে। নতুন কনসেপ্ট এসেছে পাটের পাতা থেকে চা পাতার মতো এক ধরনের ড্রিংকস তৈরি হচ্ছে । হয়তো একথা আগে বললে বলা হত এটা আবার কেমন কথা, দিন তো বদলাচ্ছে প্রতিদিন নতুন নতুন চিন্তা নতুন নতুন উদ্ভাবনী শক্তি আসছে। আগে মাশরুম দেখলে বলা হতো হারাম খাবার ব্যাঙের ছাতা। হয়তো এমন দিন আসবে কচুরিপানা থেকে খাবার বের হবে যার ফ্রুট ভ্যালু অনেক খানি ভালো। অপেক্ষা করি তার জন্য। নেক্সট ওয়েট ফর দ্যাট।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুন্সী। ওই বিলের বিরোধিতা করে জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব করেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য মো. ফখরুল ইমাম, কাজী ফিরোজ রশীদ, মুজিবুল হক, শামীম হায়দার পাটোয়ারী ও পীর ফজলুর রহমান এবং বিএনপি’র ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। কিন্তু তাদের প্রস্তাবের বিরোধীতা করে বিলপি পাসের অনুরোধ জানান মন্ত্রী। পরে বিরোধী দলের প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
পাস হওয়া বিলে কোম্পানি রেজিস্ট্রেশনের সময় লোগো রেজিস্ট্রেশনের বিধান তুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে এখন শুধু কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন করলেই চলবে। ফলে সংশোধিত বিলটি পাস হলে কোম্পানির কমন সিল, সাধারণ সিল ও অফিসিয়াল সিল নিবন্ধনের বিধান বিলোপ হবে।
Posted ২১:৪২ | মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain