শুক্রবার ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতির গর্বের প্রতীক

  |   শনিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০১৮ | প্রিন্ট

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতির গর্বের প্রতীক

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতির গর্বের প্রতীক। বিগত ১০ বছরে সেনাবাহিনীর অবকাঠামোগত পরিবর্তনের পাশাপাশি সক্ষমতাও বৃদ্ধি পেয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০ এর অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নসহ শক্তিশালী প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সমরাস্ত্র ও সরঞ্জামাদি সংগ্রহ করা হয়েছে। আজকের বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অবকাঠামোগত, কৌশলগত ও প্রযুক্তিগত দিক থেকে এক দশক আগেকার সেনাবাহিনীর চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা এবং আধুনিক প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জামাদির সমন্বয়ে অনেক বেশি উন্নত, দক্ষ ও চৌকস।’

শনিবার সকালে চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিতে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির (বিএমএ) ৭৬তম দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের অফিসার ক্যাডেটদের কমিশন প্রাপ্তি উপলক্ষে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন। বিএমএ প্যারেড গ্রাউন্ডে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ প্রধান অতিথি হিসেবে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন এবং অভিবাদন গ্রহণ করেন। পরে তিনি ক্যাডেটদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় রাষ্ট্রপতি কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘তোমরা এদেশের সন্তান, জনগণের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তোমাদের মানুষের সুখ-দুঃখ ও হাসি-কান্নার সমান অংশীদার হতে হবে। যেকোনো দুর্যোগ-দুঃসময়ে বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।’

স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সর্বদা সজাগ থাকার জন্য নবীন অফিসারদের প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, ‘দেশ-বিদেশে দায়িত্ব পালনে দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব দেখিয়ে ইতোমধ্যে আমাদের সেনাবাহিনী সব মহলের প্রশংসা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের মানুষ শান্তি আর সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে জানবে- এটিই জাতির প্রত্যাশা।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু একদিন যে স্বপ্ন দেখেছিলেন আজ তা বাস্তবে পরিণত হয়েছে। বিএমএ আজ একটি অত্যাধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন একাডেমি। এখানে ক্যাডেটদের ইনডোর প্রশিক্ষণের জন্য অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত বঙ্গবন্ধু কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়েছে। চালু করা হয়েছে বিভিন্ন বিষয়ে চার বছর মেয়াদি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি। জাতির পিতার হাতে যে সেনাবাহিনীর যাত্রা শুরু হয়েছিল, তার সুনাম আজ বহির্বিশ্বেও ছড়িয়ে পড়েছে।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন, সুশৃঙ্খলভাবে ত্রাণ বিতরণ ও তাদের পরিচয়পত্র তৈরিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। দেশ-বিদেশে দায়িত্ব পালনে দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব দেখিয়ে সেনাবাহিনী সব মহলের প্রশংসা অর্জন করেছে।’

এবারের কুচকাওয়াজের মাধ্যমে ২৫৪ জন বাংলাদেশি, দুইজন সৌদি ও একজন শ্রীলঙ্কার ক্যাডেটসহ মোট ২৫৭ জন ক্যাডেট কমিশন লাভ করেন। কমিশনপ্রাপ্ত ক্যাডেটদের মধ্যে ৭৬তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সে ২১৭ জন পুরুষ ও ৩৭ জন নারী ক্যাডেট রয়েছেন।

এবারের কুচকাওয়াজে ব্যাটালিয়ন সিনিয়র আন্ডার অফিসার এ কে এম ইনজামামুল হক সেরা চৌকস ক্যাডেট বিবেচিত হন এবং ‘সোর্ড অব অনার’ লাভ করেন। এ ছাড়া, কোম্পানি সিনিয়র আন্ডার অফিসার ইবনে ইজাজ হাসান সামরিক বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য ‘সেনাবাহিনী প্রধান স্বর্ণপদক’ অর্জন করেন। পরে ক্যাডেটরা আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণ করেন এবং মা-বাবা ও অভিভাবকরা নবীন অফিসারদের র‌্যাংক-ব্যাজ পরিয়ে দেন।

এর আগে রাষ্ট্রপতি বিএমএ প্যারেড গ্রাউন্ডে এসে পৌঁছালে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ তাকে অভ্যর্থনা জানান।

কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদের একাধিক সদস্য, নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত, সংসদ সদস্য, আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ডের জিওসি লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. নাজিম উদ্দিন, বিএমএর কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল আনোয়ারুল মোমেন, ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও চট্টগ্রাম এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল এস এম মতিউর রহমান, ঢাকার বৈদেশিক কমিশনের কূটনীতিক, উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা এবং সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের অভিভাবকবৃন্দ।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৫:০৬ | শনিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০১৮

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com