অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান মনোনয়নের জন্য বাংলাদেশ মডেল অনুসরন করতে চেয়েছিলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ফখরুদ্দিন জি. ইব্রাহিম। বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান হিসেবে প্রধান বিচারপতিকে নিয়োগ দেয়ার বিধান ছিল। সেই বিধান অনুসরণ করে তিনি পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান নিয়োগের পক্ষে ছিলেন। কিন্তু এমন প্রস্তাব করলে তাতে বিতর্ক সৃষ্টি হবে এ ভয়ে তিনি তার এ দাবি জোরালো করেননি।
গতকাল এ খবর দিয়েছে পাকিস্তানের দ্য নিউজ অনলাইন। ‘ফখরুদ্দিন ইব্রাহিম ওয়ান্টেড চিফ জাস্টিস টু বি ইনটেরিম পিএম’ শীর্ষক রিপোর্টে এসব কথা বলা হয়েছে। সূত্র মতে, পিপিপি সরকারের সময়ে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান নিয়োগের ঠিক আগে এ নিয়ে তিনি সীমিত সংখ্যক সাংবাদিকে সঙ্গে কথা বলেছিলেন।
তিনি চেয়েছিলেন নির্বাচন যাতে অবাধ ও পক্ষপাতহীন না হয় তা নিশ্চিত করতে। সাবেক এ প্রধান নির্বাচন কমিশনার চেয়েছিলেন বাংলাদেশ মডেলটি তুলে ধরবে সাংবাদিকরা। তবে এক্ষেত্রে তার শঙ্কাও ছিল। তিনি মনে করেছিলেন পাকিস্তানে তখন যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিরাজমান ছিল তাতে এ পদ্ধতির কথা বলা মানে সমালোচনার মুখে পড়া।
ওদিকে ১১ই মে পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী মীর হাজার খান খোসোর অধীনে। এ নির্বাচন নিয়ে এবং প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে সাংবিধানিক কাঠামোতে। নির্বাচন যখন শেষ হলো তখন এর যে দোষত্রুটি তার দায় এসে পড়ে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ফখরুদ্দিন জি ইব্রাহিমের ওপর।
For News : news@shadindesh.com
Like this:
Like Loading...
Related