| শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল ২০১৭ | প্রিন্ট
বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশকে জঙ্গিরাষ্ট্র বানাতে চায় বলে মন্তব্য করেছে নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। তিনি বলেন, ‘জামায়াত-বিএনপি জোট বাংলাদেশের উন্নয়ন চায় না। পাকিস্তানের সঙ্গে দোস্তি করে তারা বাংলাদেশকে জঙ্গিরাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়।
শুক্রবার সকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের ৫নং ঘাটে শীতলক্ষ্যার তীরে বাংলাদেশ সরকারের (জিওবি) অর্থায়নে ১৬৭ কোটি টাকা ব্যায়ে সংগৃহীত ড্রেজিং ও নৌপথ সংরক্ষণ সহায়ক ২০টি নৌযান উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন তিনি।
শাজাহান খান বলেন, বিএনপি-জামায়াতের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছিল। তাদের আমলে বাংলা ভাইয়ের সৃষ্টি হলেও বিএনপি-জামায়াত তাকে মিডিয়ার সৃষ্টি বলতো।
নৌমন্ত্রী বলেন, ‘জঙ্গিবাদ একটি বৈশ্বিক সমস্যা। তাদের প্রতিহত করে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে আবার ক্ষমতায় এনে দেশ থেকে জঙ্গিবাদ নির্মূল করা হবে।’
বক্তব্য শেষে নামফলক উন্মোচন ও ২০ পাউন্ডের কেক কেটে ২০টি নৌযানের উদ্বোধন করা হয়। পরে শীতলক্ষ্যার তীরে নোঙর করে রাখা ২০টি নৌযান পরিদর্শন করেন মন্ত্রীসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা।
বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, ‘একসঙ্গে ২০টি নৌযান উদ্বোধনের ঘটনা বিরল। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে যারা ক্ষমতায় এসেছে তারা শুধু নিজেদের আখের গুছিয়েছে। নদীর জন্য কিছুই করেনি। বিগত ৮ বছরে আমরা ৭০টি ড্রেজার সংগ্রহ করেছি। আমাদের ২০০টির মতো ড্রেজার প্রয়োজন হলেও এখন আছে ১০০টির মতো।’
খুব শিগগির শীতলক্ষ্যা নদীর খনন কাজ শুরুর কথা জানিয়ে তিনি বলেন, একসময় নারায়ণগঞ্জ প্রাচ্যের ডান্ডি ছিল। এখানে অনেক বড় বড় জাহাজ আসতো। যে কারণে নারায়ণগঞ্জ অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ ছিল। শীতলক্ষ্যা খনন হলে তা আগের অবস্থায় ফিরে আসবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- স্থানীয় সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, সেলিম ওসমান, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রফিকুল ইসলাম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন।
উল্লেখ্য বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাংলাদেশের নদী রক্ষায় ৫০০ মিলিয়ন ডলারের একটি প্রকল্প হাতে নিতে যাচ্ছে সরকার। এর মাধ্যমে দেশের ৫৩টি নৌপথের ক্যাপিটাল ড্রেজিং হবে। প্রথম পর্যায়ে ২৪টি নৌপথ খনন করা হবে।
Posted ০৯:৩৬ | শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain