শুক্রবার ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বন্যায় যা যা করণীয়, সেই ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি : প্রধানমন্ত্রী

  |   বুধবার, ২২ জুন ২০২২ | প্রিন্ট

বন্যায় যা যা করণীয়, সেই ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি : প্রধানমন্ত্রী

স্বাধীনদেশ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বন্যায় যা যা করণীয়, সেই ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। বন্যা পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়েও কথা বলেছি। আজ বুধবার (২২ জুন) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বন্যাকবলিত এলাকায় শুকনো ও রান্না করা খাবার, খাবার স্যালাইন, ওষুধ সব ব্যবস্থাই করেছি। বন্যার ফলে যে রোগ হতে পারে তা মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত আছি। স্বাভাবিক মাত্রার বন্যা মোকাবেলা করার সক্ষমতাও আমাদের রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন, বন্যার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমি উদ্ধার এবং ত্রাণ কার্য পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছি। কোনো সময় ক্ষেপণ না করে সিভিল প্রশাসনের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এবং কোস্টগার্ড, পুলিশ বাহিনীকে নিয়োজিত করেছি।

তিনি বলেন, বর্ষাকাল শুরু হয়েছে। এ সময় বন্যা হবে এটাই স্বাভাবিক। স্বাভাবিক বন্যা আমাদের কাঙ্ক্ষিত। বন্যার পানি আমাদের কৃষি জমিকে উর্বর এবং সতেজ করে। ময়লা-আবর্জনা-জঞ্জাল ধুয়ে মুছে সাফ করে নিয়ে যায়। এ ধরনের বন্যার সঙ্গে বসবাস করতে আমাদের দেশের মানুষ অভ্যস্থ। স্বাভাবিক মাত্রার বন্যা মোকাবিলা করার সক্ষমতাও আমাদের সরকারের রয়েছে।

তিনি বলেন, মেঘালয় ও আসাম পাহাড়ি এলাকা। ফলে বৃষ্টির পানি দ্রুত ভাটির দিকে সমতল ভূমি সুনামগঞ্জ-সিলেটে প্রবেশ করে প্লাবিত করেছে। এ অঞ্চলের হাওর এবং নদীগুলোর স্বাভাবিক বন্যার পানি ধারণের ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু এত বিপুল পরিমাণ পানি ধারণ এবং পরিবহনের ক্ষমতা এসব হাওর বা নদীগুলোর নেই। ফলে পানি ফুলে-ফেঁপে উঠে গ্রাম, শহর, নগর, সড়ক-মহাসড়ক প্লাবিত করেছে। এবারের বন্যা স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহতম। বিগত একশ-সোয়াশ বছরের মধ্যে এত প্রলয়ঙ্কারী বন্যা হয়নি।

শেখ হাসিনা বলেন, বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঠেকানোর ক্ষমতা মানুষের নেই, সরকারেরও নেই। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমানো এবং দুর্ভোগ লাঘবে সরকারের দায়িত্ব রয়েছে। কোনো সরকার সে দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছে কি না সেটাই বিবেচ্য বিষয়। গতকাল পর্যন্ত বন্যাকবলিত ১১টি জেলায় ৯০০ মেট্রিক টন চাল এবং ৩ কোটি ৩৫ লাখ নগদ টাকা এবং ৫৫ হাজার শুকনা এবং অন্যান্য খাবারের প্যাকেট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে যেটা সবচেয়ে বেশি দরকার তা হলো শুকনো খাবার এবং বিশুদ্ধ পানির। আমরা তার ব্যবস্থাই করছি। আমাদের দলের নেতাকর্মীরাও সাধ্যমতো দুর্গত মানুষের ঘরে শুকনো এবং রান্না করার খাবার পৌঁছে দিচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় পানি কমতে শুরু করেছে। আশা করা হচ্ছে দু’একদিনের মধ্যে পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হবে। বন্যার পানি নেমে গেলে বাড়িঘর মেরামত এবং কৃষি পুনর্বাসনের কর্মসূচি হাতে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কাজের নির্দিষ্ট করে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। আমি বন্যাকবলিত এলাকার জনসাধারণকে আশ্বাস দিতে চাই, সরকার আপনাদের পাশে আছে। মানুষের ভোগান্তি লাঘবে আমরা সর্বোচ্চ উদ্যোগ নিয়েছি।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ০৮:৪৭ | বুধবার, ২২ জুন ২০২২

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com