| শুক্রবার, ১০ আগস্ট ২০১৮ | প্রিন্ট
খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান- এর জনগনের মুজিব ভাই, বঙ্গবন্ধু এবং জাতির পিতা হয়ে ওঠার পেছনে সম্পূর্ণ অবদান ছিল বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের। প্রতিটি কাজেই তিনি বঙ্গবন্ধুকে সহায়তা করেছেন।
আজ (শুক্রবার )সকাল ১০.৩০ টায় “বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পরিষদ” কর্তৃক জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত “বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৮৮ তম জন্মদিন” উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ ২৩ বছরের সংগ্রাম জীবেন যে অর্জন তার পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান ছিল বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছার। একজন বাঙ্গালী নারীর যে সমস্ত িৈবশষ্ট থাকে তার সমস্ত বৈশিষ্টই ছিল বঙ্গমাতার মধ্যে। সংসার, রাজনীতি, সমাজ প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিনি ছিলেন সচেতন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ’৭৫ এ যারা মন্ত্রীপরিষদের সদস্য ছিলেন তাদের প্রত্যেককে বিচারের আওতায় আনতে হবে। ঐ সময়ে যিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রী ছিলেন তখন তিনি বিদেশে ছিলেন। কিন্তু জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যাকান্ডের পরও তিনি এ হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে বহিঃবিশ্বে জনমত গঠন করেন নাই। মন্ত্রী বলেন, তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনা উচিত।
মন্ত্রী উপস্থিত সকলকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, চারিদিকে ষড়যন্ত্র চলছে। রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে, গনতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। এসবের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে। কোন অবস্থাতেই তাদের উদ্যেশ্য সফল করতে দেয়া যাবে না।
প্রধান অথিতির বক্তব্যে ড. হাসান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে একই সাথে নিজের সংসার এবং আওয়ামীলীগ দুই ই সামলেছেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবনে যা কিছু অর্জন তার পেছনে মূল অবদান বঙ্গমাতার।
ড. হাসান মাহমুদ বলেন, ছাত্র আন্দোলন ব্যার্থ হবার পর ১/১১ এর কুশীলবরা হতাশ হয়েছে। তারা তাদের শালীন ভাষা হারিয়ে ফেলেছে। তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ হলো ভীমরুলের চাক, কেউ যদি এতে খোচা দেয় তবে তা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে হুল ফোটায়।
“বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পরিষদ”- এর সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক আকতারুজ্জামান, সাবেক ছাত্র নেতা বলরাম পোদ্দার সহ আরও অনেকে।
Posted ১৫:০৩ | শুক্রবার, ১০ আগস্ট ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain