| শুক্রবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৮ | প্রিন্ট
গত কয়েক বছর ধরে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো হয়ে ওঠেছে গুজব ও প্রপাগান্ডা ছড়ানোর উৎস। আসন্ন নির্বাচনে গুজব বন্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ, সাংবাদিকদের ভোট কক্ষের ভেতরের ছবি তোলা ও ভিডিও না করার পক্ষে প্রস্তাবনা দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা গুজব বন্ধে ভোটের আগে ও পরে ইন্টারনেটের গতি কমিয়ে ফোর জি থেকে টু জিতে নামিয়ে আনারও পরামর্শ দিয়েছেন ।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে শৃসমন্বয় সভায় উপস্থিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে সুপারিশ করা হয়েছে বলে বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্র জানিয়েছেন।
সূত্র জানায়, নির্বাচনের সময় দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের ওপর বিশেষ নজর রাখা যাতে বিশেষ কোনো গোষ্ঠী পর্যবেক্ষণের আড়ালে অপপ্রচার চালাতে না পারে। অথবা কোনো পর্যবেক্ষক যেন কোনো দলের পক্ষ নিয়ে কাজ করতে না পারে। নির্বাচনের দিন সাংবাদিকদের ভোট কেন্দ্রে প্রবেশের বিষয়েও কড়াকড়ি আরোপের ওপর জোর দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এছাড়াও ভোট চলার সময় কেন্দ্রের গোপন কক্ষে সাংবাদিকরা যেন ছবি না তুলতে পারে, ভিডিও করতে না পারে এবং সরাসরি সম্প্রচার করতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্যও অনুরোধ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। শুধু ভোট কেন্দ্র নয়, ভোট কেন্দ্রের ৪০০ গজের ভেতরে গণমাধ্যম কর্মীরা যাতে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে না পারেন সেসব বিষয় নিয়েও সুপারিশ করেছেন তারা।
নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশে বলেন, সাংবাদিকরা কেন্দ্রে যাবেন। তাদের একটি নীতিমালা আছে, সেটি তারা মেনে কেন্দ্রে প্রবেশ করবেন। এখানে ইসির কিছু করার নেই। এছাড়াও ফেসবুক নিয়ন্ত্রণ করা খুব ঝামেলার। এখানে আমার কিছু প্রতিবন্ধকতা আছে সেসব বিষয় আপনাদের মাথায় রাখতে হবে।
নির্বাচন কমিশনের একটি সূত্র জানায়, এরই মধ্যে ইন্টারনেটের গতি ফোর জি থেকে টু জিতে কমিয়ে আনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। যদিও তা এখনো চূড়ান্ত করেনি। এছাড়াও আজকের সভায় আলোচনা হয়েছে এমন সব বিষয় নিয়ে ইসি কমিশন সভায় আলোচনা করবে। কমিশন সভার আলোচনায় যে সিদ্ধান্ত হবে তা পরিপত্র আকারে জারি করবে ই
নির্বাচনে কালো টাকার ব্যবহার বন্ধে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ করার প্রস্তাবও ওঠেছে বৈঠকে। এই প্রস্তাবের পক্ষে যুক্তি দেওয়া হয় নির্বাচনের সময়ে বিদেশ থেকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা আসতে পারে। এসব টাকা নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে। সেই টাকা নির্বাচনে অবৈধভাবে ব্যবহার করা হবে বলেও কমিশনের কাছে প্রস্তাব দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এছাড়াও রোহিঙ্গা বিষয়ে আলোচনা হয় সভায়। রোহিঙ্গারা নির্বাচনে প্রভাবিত হতে পারে। সেজন্য বিশেষ নজরদারি বাড়াতে হবে বলেও মত দেন তারা।
Posted ১৩:০৫ | শুক্রবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain