| শনিবার, ২১ জানুয়ারি ২০১৭ | প্রিন্ট
জ্বালানি তেলের দাম যে কমছে না তা আবারো ঘোষণা করলেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়ে গেছে এমন অভিমত ব্যক্ত করে তিনি এমন ঘোষণা দেন। তবে বিশ্ববাজারে পরিস্থিতি দেখে তেলের দাম কমানোর বিষয়টি আবারো বিবেচনায় নেয়া হতে পারে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট পরিবেশ অ্যাক্টিভিস্ট আল গোর রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং সুন্দবন প্রসঙ্গে যে প্রশ্ন তুলেছেন, তার জবাবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ কড়া সমালোচনা করেছেন।
তিনি বলেন, আল গোর তার জায়গা থেকে প্রশ্ন তুলেছেন। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। এ দেশ আমাদের। আমরা পরিবেশ এবং উন্নয়ন ভালো বুঝি। প্রধানমন্ত্রী সঠিক উত্তরই দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, যারা আজ কয়লা ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করছেন, তারা কয়লা ব্যবহার করেই উন্নয়ন করেছেন। নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের কথা বললেও, উন্নত বিশ্ব আগামী চল্লিশ বছর কয়লার উপরেই নির্ভর করবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি হবে না রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে। সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এটি নির্মাণ করা হচ্ছে। অনেকেই পদ্মাসেতু নির্মাণের সমালোচন করেছিলেন। তারা বলেছিলেন সেতু নির্মাণ হলে ইলিশের চলাচল ব্যহত হবে। এখন তারা চুপ মেরে গেছেন। পদ্মাসেতু নির্মাণ হচ্ছে। যে কোনো কাজের সমালোচনা থাকবেই। তাই বলে উন্নয়ন থেমে থাকবে না। আমরা পরিবেশের সর্বনিম্ন ক্ষতি করে উন্নয়নের পক্ষে।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে মিট দ্য রিপোর্টার্স শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা।
সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) বার্ষিক সভায় এক আলোচনায় বাংলাদেশের সুন্দরবনের কাছে বাগেরহাটে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের প্রসঙ্গ উঠে আসে; যেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সুন্দরবন ও আশপাশের এলাকার পরিবেশ রক্ষা করেই এই কেন্দ্র করা হচ্ছে।
বুধবার সুইজারল্যান্ডের ডাভোসের কংগ্রেস সেন্টারে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ‘লিডিং দ্য ফাইট এগেইনস্ট ক্লাইমেট চেঞ্জ’ শীর্ষক প্ল্যানারি সেশনে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে প্রশ্ন তোলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট পরিবেশ অ্যাক্টিভিস্ট আল গোর।
সাংবাদিক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাগরে খনিজ সম্পদ জরিপে বিলম্ব হচ্ছে দক্ষ জনশক্তির অভাবে। নৌ-বাহিনীর সঙ্গেও চুক্তি হয়েছে। আমরা গভীর সাগরে খনিজ সম্পদ অনুসন্ধানে বড় পরিকল্পনা নিয়েছি।
এলপিজি গ্যাস সম্পর্কে তিনি বলেন, গ্যাসের অপচয় রোধ এবং এর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্যই সরকার এলপিজি গ্যাসের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে সবাইকে এই গ্যাস ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে।
নাইকো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নাইকো দুর্নীতির সঙ্গে বিএনপি-জামাত সরকারের সম্পৃক্ততা প্রমাণিত। নাইকোর সঙ্গে চুক্তি বাতিল এবং ক্ষতিপূরণ আদায় এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
Posted ০৮:১৩ | শনিবার, ২১ জানুয়ারি ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain