| বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারি ২০১৪ | প্রিন্ট
জয় নিয়ে সংশয় কমই ছিল, সেটিই থাকার কথা। ম্যাচ শেষে তাই গেটাফেকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার পর বার্সেলোনার আলোচনায় মেসির প্রত্যাবর্তন প্রসঙ্গই থাকল বেশি। ম্যাচের পর বার্সেলোনা অধিনায়ক কার্লোস পুয়োলকে ধরল এক স্প্যানিশ টেলিভিশন চ্যানেল। ওই একই প্রশ্ন, প্রত্যাবর্তনের পর মেসিকে কেমন দেখলেন?
পুয়োল নিজেও সদ্য চোট থেকে ফিরেছেন। কিন্তু সেটি বাদ দিয়ে মেসিকে নিয়ে মাতামাতি হওয়ায় মোটেও বিরক্ত হলেন না বার্সা অধিনায়ক। ছোট্ট জবাবে বরং বুঝিয়ে দিলেন নিজের রসবোধ, ‘দেখলাম ও (মেসি) ফুটবল খেলা ভুলে যায়নি।’
শুধু পুয়োল নন, দেখল ন্যু ক্যাম্পের হাজার চল্লিশেক দর্শকও। টেলিভিশন আর ইন্টারনেট ধরলে সংখ্যা লক্ষাধিক। তবে তাঁর ফেরাটা সবচেয়ে বেশি উপলব্ধি করল গেটাফেই। ইনিয়েস্তার বদলি হিসেবে মাঠে নামলেন ম্যাচের ৬৪ মিনিটে। সেস্ক ফ্যাব্রিগাসের জোড়া গোলে ততক্ষণে বার্সা এগিয়ে ২-০ ব্যবধানে। বাকি সময়টা নিজেদের পোস্ট অক্ষত রাখতে পারলেই হয়তো বার্সা সমর্থকেরা সন্তুষ্ট থাকত। প্রায় দুই মাস মাঠের বাইরে থাকা মেসির ফেরাটাই যে বড় ব্যাপার। কিন্তু মেসি নিজে সন্তুষ্ট থাকেন কী করে! নিজের প্রথম গোলটা পেলেন ৮৯ মিনিটে। তবে ‘মেসিসুলভ’ হলো যোগ হওয়া সময়ে করা তাঁর দ্বিতীয় গোলটা। ডান দিক থেকে পাওয়া বলটা ধরে দুর্দান্ত গতিতে গেটাফে ডিফেন্ডারদের হতভম্ব করে জালে জড়িয়ে দিলেন।
মৌসুমে ক্লাবের হয়ে ১৬তম গোল। মাঝে কিছুদিন না থাকায় তাঁকে ছাড়িয়ে বার্সেলোনার এই মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে গিয়েছিলেন পেদ্রো (১৫টি)। পরশু প্রত্যাবর্তনের রাতেই আবার নিজের আসন ফিরে পেলেন মেসি। অবশ্য ম্যাচ শেষে বলেছেন গোল করাটা নাকি বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল না তাঁর কাছে, ‘আমি শারীরিকভাবে সুস্থ আছি, ব্যথা ছাড়াই খেলতে পারছি। গোলের চেয়ে এটাই আমার কাছে বেশি আনন্দের।’ তার মানে কাল লা লিগায় অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে শুরু থেকেই খেলছেন? কোচের অনুমতি ছাড়া এ নিয়ে কোনো পূর্বাভাস দিতে রাজি হননি বার্সেলোনার জাদুকর, ‘যদি সুস্থ থাকি খেলতেও পারি। আমি টাটা (জেরার্ডো মার্টিনো) আর চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলব।’ তবে তাঁর মধ্যে যে খেলার তাড়নাটা প্রবল সেটা স্পষ্ট পরের কথাতেই, ‘আমি ফেরার জন্য উন্মুখ হয়ে ছিলাম। অনেক দিন মাঠের বাইরে আছি।’
মাঝে বার্সা সহসভাপতি হাভিয়ের ফসের সঙ্গে কথার লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ায় জল্পনা শুরু হয়েছিল, তবে কি ক্লাবের সঙ্গে সম্পর্কটা শীতল হয়ে গেল মেসির? মেসি এটিকে গুঞ্জন বলেই উড়িয়ে দিলেন, ‘আমার ইচ্ছে বার্সেলোনাতেই থাকা এবং এখানেই ক্যারিয়ার শেষ করা।’ নতুন বছরটা জোড়া গোল দিয়ে শুরু হয়েছিল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। পরশু একই ঘটনা ঘটল মেসির ক্ষেত্রেও। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা রোনালদো সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে দুই গোল করে বলেছিলেন, ১৩ জানুয়ারি জুরিখের ফিফা-ব্যালন ডি’অর গালাতে থাকবেন। গেটাফে ম্যাচের পর মেসি নিশ্চিত করলেন তিনিও থাকবেন, ‘প্রতিবারের মতো আমিও যাব সেখানে। ফলাফল যা-ই হোক, সেরা তিন ফুটবলারের মধ্যে থাকাটাও তো আনন্দের। আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দলের হয়ে শিরোপা জয়, তবে ব্যক্তিগত পুরস্কারও আমার কাছে খুবই কাঙ্ক্ষিত।’ এএফপি, রয়টার্স, ওয়েবসাইট।
Posted ২৩:১৩ | বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারি ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin