| মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ | প্রিন্ট
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে জনতার ঢল নেমেছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। গতকাল রাত থেকেই শহীদ মিনার এলাকায় জমায়েত হয় লাখো জনতা। সময় গড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরো শহীদ মিনার এলাকায় লোকারণ্য হয়ে যায়। উপচেপড়া জনতার স্রোত আশপাশের সড়কগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে।
শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর শহীদ মিনার এলাকা সর্বস্তরের মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়।
শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর এই মিছিলে যোগ দেন শিশু, নারী, বৃদ্ধ থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষ। লাখো জনতা দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়ানোর পর বেদিতে ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানান। রাতের মতো দিনের বেলায়ও সর্বস্তরের জনতার পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হচ্ছে শহীদদের।
শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মিরপুর থেকে বাবার সঙ্গে শহীদ মিনারে এসেছেন শিশু সুমাইয়া। কিজন্য এসেছো জানাতে চাইলে ছোট্ট শিশুটি এই প্রতিবেদককে জানান, আজকের দিনে অনেক মানুষ মারা গেছে। তাদের শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি। এ সময় পাশে দাঁড়ানো তার বাবা জানান, মাতৃভাষার জন্য যারা জীবন দিয়েছেন তাদের যেন মনে রাখতে পারে, সেজন্য মেয়েকে নিয়ে এসেছি।
পরিবাগ থেকে এসেছেন রফিক হাসান। তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র। ঢাকাটাইমসকে তিনি জানালেন, এখানে আসতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। আগে টিভিতে শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো দেখতাম। এবার নিজে অংশ নিতে পেরেছি। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পেরে আমি অনেক খুশি।
এদিকে দিবসটিকে কেন্দ্র করে শহীদ মিনার এলাকা কঠোর নিরাপত্তার চাঁদরে ঢেকে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর গুলি চালায় পুলিশ। এতে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার ও শফিউরসহ নাম না-জানা কয়েকজন তরুণ শহীদ হন। স্মরণ করে রাখার জন্য দিনটিকে শহীদ দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষায় বাঙালির এই আত্মত্যাগের দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘ।২০১০ খ্রিস্টাব্দে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়।
Posted ০৭:১৩ | মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain