| শনিবার, ০৪ মে ২০১৯ | প্রিন্ট
দেশের মধ্যবর্তী স্থান ঢাকা, মেহেরপুর, চুড়াডাঙ্গা ও মানিকগঞ্জ এবং এর আশেপাশের এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ফণী দুর্বল হয়ে সাধারণ ঝড়ে পরিণত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে স্থল গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।
শনিবার (৪ মে) দুপুরে আবহাওয়ার ৪৫ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
আবহাওয়া বার্তায় বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় ফণী দুপুরে পাবনা, টাঙ্গাইল ও ময়মনসিংহ অঞ্চল এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে। গভীর নিম্নচাপটির প্রভাবে বাংলাদেশের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। অনেক স্থানে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।
গভীর নিম্নচাপটির প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘণ্টায় ৫০-৬০ কি. মি. বেগে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
এর ফলে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
অমাবস্যা ও বায়ুচাপ পার্থক্যের কারণে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, হাতিয়া, সন্দ্বীপ, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ২-৪ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
Posted ১৪:০৭ | শনিবার, ০৪ মে ২০১৯
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain