| শুক্রবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে বাংলাদেশের প্রাপ্তি শুভঙ্করের ফাঁকি বলে মন্তব্য করেছেন গণফোরামের একাংশের সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টু। তিনি বলেছেন, এই সফরে বাংলাদেশ কিছুই অর্জন করতে পারেনি।
আজ গণফোরাম কার্যালয়ে নির্বাহী পরিষদের জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে গণফোরাম সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে আমরা কি পেয়েছি? বাংলাদেশ কিছুই অর্জন করতে পারেনি। আমরা ভারতকে কানেক্টিভিটির সমস্ত লাইন দিয়েছি। কিন্তু তিস্তা আমরা এখনও পেলাম না। অথচ অন্য কারো সাথে আমরা কানেক্টিভিটি পাইনি এটা নিয়ে আলোচনা। নেপাল-ভুটান থেকে সরাসরি বিদ্যুৎ পাওয়ার সম্ভবনা ছিল কিন্তু তাও পায়নি বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর ও শেখ হাসিনা- নরেন্দ্র মোদির বৈঠকে বাংলাদেশ পেয়েছে শুভঙ্করের ফাঁকি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের একটি বিশাল অঞ্চল মরুভূমি ও মানবশূন্য হওয়ার পূর্বেই অবিলম্বে তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের কাজ শুরু করতে হবে। প্রয়োজনে তিস্তা সমস্যা সমাধানে চীনের সাথে আলোচনা করে উদ্যোগ নিতে হবে।
গণফোরাম নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ বলেন, দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পরে যৌথ বিবৃতিতে দেখা যায় বাংলাদেশে ভারতের বাজারে পাকাপোক্ত ভাবে পরিগণিত হবে। নিত্য-প্রয়োজনীয় দ্রব্য থেকে শুরু করে নিজস্ব উৎপাদন বাড়ানোর কোনো ব্যবস্থা না করে ভিন্ন দেশ নির্ভর আমদানি নীতি গড়ে তোলা হচ্ছে। ভারতে আমাদের পণ্য রপ্তানির সক্ষমতা আছে। কিন্তু সেই ব্যাপারে যৌথ বিবৃতিতে কোনো উল্লেখ নেই। এতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার।
বৈঠকে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী বলেন, এই সফর বাংলাদেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোনো সফর নয়, এই সফর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল রাখতে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করার ষড়যন্ত্রের সফর। ইতোপূর্বে যা অবৈধ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুখ ফসকে বলে ফেলেছিলেন। এসব ছলচাতুরি এদেশের মানুষ জানে। তাই এবার কেোভাবেই ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো নির্বাচনের সুযোগ নেই।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি এডভোকেট একেএম জগলুল হায়দার আফ্রিক, অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন আবদুল কাদের, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব খান ফারুক।
Posted ১৭:১৯ | শুক্রবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain