| সোমবার, ৩১ মার্চ ২০১৪ | প্রিন্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক: জিয়াউর রহমানকে প্রথম রাষ্ট্রপতি দাবি করে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বক্তব্যে নতুন প্রজন্ম যেন বিভ্রান্ত না হয়, সে বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করার নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সম্পর্কে দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্যে নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী সবাইকে নির্দেশনা দিয়েছেন বলে মন্ত্রিসভা সূত্রে জানা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মন্ত্রী বলেন, “প্রয়াত জিয়াউর রহমানকে ‘প্রথম’ রাষ্ট্রপতি দাবি করা নিয়ে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বক্তব্যের জবাবে ‘সব রকম সক্ষমতা’ কাজে লাগাবে সরকার। এজন্য মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।”
প্রথম রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জায়গায় জিয়াউর রহমানকে প্রথম রাষ্ট্রপতি দাবি করা নিয়ে তাদের এ বক্তব্যের পর আওয়ামী লীগ তীব্র সমালোচনা করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সোমবার আদালতে একটি মামলাও হয়। পরে আদালত মামলাটি খারিজ করে দেয়।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থিত অন্য এক মন্ত্রিপরিষদ সদস্য বলেন, “অনির্ধারিত আলোচনায় মন্ত্রিপরিষদের কেউ কেউ বলেছেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বক্তব্য পাগলের প্রলাপ। তবে বেশিরভাগ সদস্যই বিষয়টি আমলে নেয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।”
তারা বলেছেন, “বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। তা না হলে নতুন প্রজন্ম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বক্তব্যকেই সঠিক মনে করবে।”
মন্ত্রিপরিষদের ওই সদস্য বলেন, “মন্ত্রিসভা মনে করে যারা একবিংশ শতাব্দীতে ইতিহাস বিকৃত করতে চায়, তাদের এই বিষয়টিকে শক্ত করে ধরা দরকার। জাতীয় সংগীত লাখো কণ্ঠে গাওয়া নিয়ে বিএনপির গাত্রদাহ সৃষ্টি হয়েছে- এজন্য খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বক্তব্য থেকে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। কারণ খালেদা জিয়া-তারেক রহমান আমাদের জাতীয় সংগীত বিশ্বাস করেন না।”
“যত প্রকারের সক্ষমতা আছে তা দিয়ে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের এ ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলা করা হবে। রাজনৈতিকভাবেও এ ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করার আলোচনা হয়েছে মন্ত্রিসভার বৈঠকে।” বলেন ওই মন্ত্রী।
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ওই বক্তব্যকে রাষ্ট্রদোহ মনে করেন ওই মন্ত্রী। প্রশ্ন করা হলে ওই মন্ত্রী বলেন, “খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপও নেয়া হতে পারে।”
মন্ত্রিসভার ওই সদস্য মনে করেন, পঁচাত্তরপরবর্তী আওয়ামী লীগকে যেভাবে নেতাশূন্য করার চেষ্টা করা হয়েছিল কিংবা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে আওয়ামী লীগকে নেতৃতত্বশূন্য করার অপচেষ্টা করা হয়েছিল, সে রকম একটি অল আউট ম্যাচ খেলতে পারে বিএনপি। এজন্য আওয়ামী লীগ আত্মরক্ষার্থে সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে। কোনো ষড়যন্ত্রের কাছে মাথানত করবে না। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে। এছাড়া সভা সমাবেশে দলীয় নেতাদের বক্তব্য দিতে নির্দেশ হয়েছে।
Posted ১১:৪৯ | সোমবার, ৩১ মার্চ ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin