| বৃহস্পতিবার, ১২ জুলাই ২০১৮ | প্রিন্ট
বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়া প্রতিরক্ষা প্রশিক্ষণ এবং কারিগরি সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সইয়ের ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ সফররত মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সাবু প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে একথা জানানো হয়।
পরে এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এবং সফররত মালয়েশীয় মন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেন। তাদের মধ্যে রোহিঙ্গা ইস্যু এবং দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়েও আলোচনা হয়।’
প্রেস সচিব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমারের নাগরিকদের তাদের দেশে ফেরত নেওয়ার বিষয়ে মিয়ারমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেছেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উন্নত পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য তাঁর সরকার একটি দ্বীপের উন্নয়ন ঘটাচ্ছে যেখানে তাদের স্থানান্তর করা হবে।’
মালয়েশীয় মন্ত্রী বাংলাদেশের প্রশংসা করে বলেন, তার দেশ এসব রেহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনে তাদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় মাহাথির মোহাম্মদের প্রতি শুভেচ্ছা জানান এবং তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন। এছাড়া মালয়শীয় সংসদে নির্বাচিত হয়ে মাহাথির মোহাম্মদের মন্ত্রী সভার প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বগ্রহণ করায় মোহাম্মদ বিন সাবুকেও শুভেচ্ছা জানান।
প্রেস সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী এবং মালয়েশীয় মন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আরো ঘনিষ্ঠ হবার বিষয়ে একমত পোষণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বৃহত্তর মুসলিম ঐক্যের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ভাতৃঘাতি সংঘাত খুব দুর্ভাগ্যজনক।
শেখ হাসিনা বলেন, দক্ষিণ এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের সম্পদশালী দেশগুলো পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে তাদের উন্নয়নের গতিকে আরও ত্বরান্বিত করতে পারে। এ সময় তিনি ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে তাঁর মালয়েশিয়া সফরের কথাও স্মরণ করেন।
মোহাম্মদ বিন সাবু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নের প্রশংসা করে বলেন, ৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন অত্যন্ত প্রশংসার দাবিদার।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, সশস্ত্রবাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাহফুজুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এরপর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। সাক্ষাতে প্রতিবেশী দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
Posted ১৬:৩৯ | বৃহস্পতিবার, ১২ জুলাই ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain