| শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০১৯ | প্রিন্ট
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, প্রতিবাদের দিন শেষ হয়ে গেছে, এখন প্রতিরোধ করতে হবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় নামতে হবে। তাছাড়া এই অবস্থা থেকে মুক্তি আমাদের জন্য খুব কঠিন হয়ে পড়বে।
শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রধান স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সাবেক সভাপতি অধ্যাপিকা রেহানা প্রধানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক স্মরণসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
টুকু বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আজকে একে একে সব দিয়ে দিয়েছি, কোনো কিছুই আমরা রাখিনি। উনি (প্রধানমন্ত্রী) ভারতে গেলেন কোনো কিছু নিয়ে আলোচনা করলেন না, অথচ ফেনী নদীর পানি দিয়ে আসলেন। রোহিঙ্গারা কীভাবে দেশ থেকে চলে যাবে সেটা নিয়ে কোনো আলোচনাই হলো না।
তিনি আরও বলেন, আজকে যেমন আওয়ামী লীগের তথাকথিত শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়েছে, ক্যাসিনো দিয়ে তারা শুরু করেছে। এটাতো মশা। আওয়ামী লীগ যা শুরু করেছে গত ১০ বছরে এগুলো (অভিযান) তো কিছুই না। গ্রামে-গঞ্জে এখন যদি যাওয়া যায় দেখা যায় অনেকগুলো টিনের ঘরের মাঝখানে বড় বড় বিল্ডিং তোলা হয়েছে। এটা কার বাড়ি কাউকে জিজ্ঞেস করলে বলবে হয় ছাত্রলীগ নয় যুবলীগ, নতুবা আওয়ামী লীগ, কৃষক লীগ বা যেকোনো লীগের নেতার। অথচ গত ১০ বছর আগে তাদের খাবার পয়সাও ছিল না।
বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, যদি আওয়ামী লীগকে ক্লিন করতে হয়, তাহলে শুধু ক্যাসিনো নামক এই ডিটারজেন্ট দিয়ে ধুলেই হবে না। এর জন্য আরও শক্ত এবং কড়া ডিটারজেন্ট পাউডার লাগবে। যেটা দিয়ে আওয়ামী লীগ পরিষ্কার হতে পারে। তারপরেও পরিষ্কার হওয়া অনেক কঠিন। কারণ আওয়ামী লীগের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি। গত এক দশক ধরে দেশে দুঃশাসন চলছে, যে দুঃশাসনের মাধ্যমে বাংলাদেশের নাগরিকদের অধিকার একটি একটি করে হরণ করা হচ্ছে। মানুষের ভোটাধিকারসহ প্রত্যেকটি অধিকারকে হরণ করা হচ্ছে।
টুকু বলেন, আজকে আমাদের দেশের সম্পদ বিকিয়ে দেয়া হচ্ছে। আমাদের দেশের পানি ভারতকে দিয়ে দেয়া হচ্ছে। আমরা কোনো দিন শুনি নাই ভারতের সাথে যে অভিন্ন নদী আছে তার মধ্যে ফেনী নদী একটি। ফেনী নদী কোনো দিনই অভিন্ন নদী ছিল না। ফেনী নদী আমাদের নদী। সেই ফেনী নদীর পানি প্রধানমন্ত্রী নাকি মানবিক কারণে দিয়ে আসলেন। আমার প্রশ্ন, আপনি (প্রধানমন্ত্রী) মানবিক কারণে পানিগুলো দিয়ে আসলেন, অথচ আমাদের উত্তরাঞ্চলের মানুষগুলো পানির অভাবে জমিতে ফসল চাষ করতে না পেরে সুদূর চট্টগ্রামে গিয়ে মজুদদারি করে। তাদের জন্য আপনার মানবিক কারণ হয় না? তাদের জন্য মানবিক কারণে আপনি তিস্তার পানি নিয়ে আসতে পারেন নাই?
তিনি আরও বলেন, আমাদের বলা হয় আমরা নাকি ভারতবিরোধী কিন্তু আমরা কোনদিনও ভারত বিরোধী নই, আমরা বাংলাদেশের পক্ষে জাতীয় স্বার্থের জন্য যেখানে আমরা বাধা পাব সেটার বিরোধিতা করবো। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান আমাদেরকে এটা শিখিয়েছেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমালোচনা করে টুকু বলেন, আজকে সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাকের ডগায় ক্যাসিনো চলছে, অথচ উনারা নাকি দেখেন না। তারা দেখবেন কী করে, উনারা তো ব্যস্ত আছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা কোথায় আছেন কীভাবে আছেন, কীভাবে তাদেরকে গ্রেফতার করা যায় অন্যায়ভাবে মামলা দেয়া যায়। তাদের আইনের শাসন মানে বিএনপি দমনবিরোধী দলকে দমন।
স্মরণসভায় জাগপার সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, জাতীয় পার্টি (জাফর) সভাপতি মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক প্রমুখ বক্তব্য দেন।
Posted ১৬:১৩ | শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০১৯
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain