| শুক্রবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২১ | প্রিন্ট
একে একে দুই বার তিনি সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল হোছাইনের কাছে থেকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন শেষ পর্যন্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী কামাল হোছাইনের কাছে পুনরায় পরাজিত হন। মগনামা ইউপিতে নৌকার প্রতীক নিয়ে নাজেম উদ্দিন ১৪৫ ভোট পেয়ে বিশাল ব্যবধানে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনুস চৌধুরী (ঢুল) প্রতীকে ৫২৭০ ভোটে বিজয় লাভ করেন। নৌকার প্রার্থী পরিমান মত ভোট ও পেলেন না হারালেনও জামানত। উজানটিয়া ইউপিতে নৌকার প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান এটিএম শহিদুল ইসলাম চৌধুরী সামান্য ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন।
তিনি পেয়েছেন ২৪১১ ভোট। তার প্রতিন্দ্বন্দি নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী তোফাজ্জল করিম (স্বতন্ত্র) চশমা প্রতীকে ৩৬১২ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। নৌকার প্রার্থীর অভিযোগ রিটানিং কর্মকর্তা উজানটিয়ার নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী তোফাজ্জল করিমের সাথে আতাত করে ভুয়া ব্যালেট পেপার দিয়ে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে তাকে পরাজিত করেছেন। তারই উদাহরণ মধ্যম উজানটিয়া ভেলুয়ার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সকালে ওই স্কুলে প্রধান শিক্ষক স্কুল পরিস্কার করতে গেলে স্কুলে যায় এস এম সির একজন সদস্য তিনি দেখেন স্কুলের আলমারিতে ব্যালেট পেপার। তিনি ওই ব্যালেট পেপার উদ্ধার করেন। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে বেশ কয়েকজন পরাজিত মেম্বার প্রার্থীরা এসে ব্যালেট পেপার উদ্ধার করে।
বিষয়টি সম্পর্কে স্থানীয় প্রশাসন ও গণমাধ্যম কর্মীরাও অবগত হয়। এদিকে পেকুয়া সদর ইউপিতে নৌকা প্রতীক নিয়ে সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম ৫৯৫৩ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। তারই প্রতিন্দ্বন্দি প্রার্থী (স্বতন্ত্র) উপজেলা বি এন পির আহবায়ক এম বাহাদুর শাহ (চশমা) প্রতীকে ৮৩৩৭ ভোট পেয়ে বিজয় হন। নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তবে পেকুয়ায় এবার ইভিএম পদ্ধতিতে প্রথম ভোট গ্রহন করে। ইভিএম পদ্ধতিতে প্রথম পেকুয়ায় ভোট গ্রহন হওয়ায় তা নিয়ে শঙ্কা থাকলেও শেষ পর্যন্ত নির্বাচন সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে নৌকার প্রার্থী সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম অভিযোগ করেন ইভিএম পদ্ধতিতে প্রশাসনের সাথে কারসাজি করে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে নৌকার ভোট কেটে নিয়ে ওই স্বতন্ত্র প্রার্থী চশমা প্রতীককে বিজয় করেছে। ইভিএম এ ভোট গননা করার সময় এজেন্টদেরকে কেন্দ্র থেকে আধা ঘণ্টা বের করে রাখে পরে আবার ডুকায়। এমনকি বিভিন্ন কেন্দ্রে ইভিএম এ সমস্যা দেওয়ায় যথাযথ ভোট গ্রহন করা সম্ভব হয়নি।
তিনি আরো বলেন ইভিএম পদ্ধতির অজুহাত দেখিয়ে এলাকার লোকজন ইভিএম এ ভোট দিতে জানে না বলে ভোট কেন্দ্রে দায়িত্ব প্রাপ্ত সহকারী প্রিজাইডিং অফিসাররা চশমা প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য উৎসাহ দেয় ভোটারদেরকে। এমনকি অনেক সময় তারা নিজেরাই বাটন চাপ দিয়ে ভোট দিয়ে দেয়। এদিকে সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম কে নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট করলে উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের শীর্ষ নেতাদের ভুমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠে। তাকে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা সহযোগিতা করেছেন কিন্তু শীর্ষ নেতারা তার পাশে থাকলেও ভোট যুদ্ধে সহযোগিতা করেন নাই। সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম এর আগেও একে একে দুই বার পরাজিত হয়। এবার সর্বশেষ তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে চশমা প্রতীকের প্রার্থীর কাছ থেকে পরাজিত হন বিপুল ভোটের ব্যবধানে। তবে সাধারণ ভোটারদের অভিযোগ নৌকার প্রার্থীর কিছু ভুলের কারণেই পরাজিত হয়েছেন। তিনি নির্বাচন পরিচালনা করতে অভিজ্ঞ ব্যক্তি নিয়ে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করেন নাই এবং ভিতরে ভিতরে দলীয় কোন্দল থাকায় পরাজিত হয়েছেন। বারবাকিয়া ইউপিতে স্থগিত একটি ভোট কেন্দ্রের ফলাফল ছাড়ায় বিপুল ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে আছেন জি এম আবুল কাসেম নৌকা প্রতীকে ৪৪২২ ভোট পেয়েছেন । তার প্রতিন্দ্বন্দি প্রার্থী মাওলানা এ এইচ এম বদিউল আলম জিহাদি চশমা প্রতীকে ৪১০৮ ভােট পেয়েছেন। তবে একটি স্থগিত হওয়া ভোট কেন্দ্রে পুনরায় ভোট গ্রহন সম্পন্ন হলেই কে জয় হচ্ছেন তা বলা যেতেও।
Posted ২১:৫৯ | শুক্রবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২১
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin