| রবিবার, ০৬ মার্চ ২০২২ | প্রিন্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক,পেকুয়া : কক্সবাজারের পেকুয়ার রাজাখালীর সবুজ বাজারে জায়গা জমি নিয়ে চলছে দুপক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা। পুলিশ গিয়েও ঠেকানো হলো না জায়গাটির জবর দখল। জায়গা জবর দখলকে কেন্দ্র করে স্থানীয় দু’পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছে। আধিপত্যকে কেন্দ্র করে যে কোন মুহুর্তে উভয়পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা দেখা দিয়েছে।
গত ৫ মার্চ শনিবার ও ৬ মার্চ রবিবার ২৫ শতক জায়গা জবর দখলের কুমানসে ওই স্থানে মাটি ভরাট কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ছৈয়দ মিয়ার পুত্র জমির হোসেনের নেতৃত্বে আবদুল মালেক, মোক্তার আহমদসহ ৫/৬ জনের দুবৃর্ত্তরা। শনিবার রাতে জায়গাতে হানা দিয়ে ভীতি ও আতংক ছড়িয়ে জায়গাটি জবর দখল তৎপরতায় ব্যস্ত রয়েছে। এর সুত্র ধরে তারা ওই দিন রাতেই বিরোধীয় জমিতে মাটি ভরাট কাজ করে। ফসলী জমি থেকে ড্রাম্পার দিয়ে টপ সয়েল এনে ওই জায়গায় শ্রেনী পরিবর্তন ঘটানো হচ্ছে।
জায়গার মালিক আকবর আহমদ গংদের পক্ষে ডাক্তার এহেছান গং বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে অবহিত করেন। এমনকি পুলিশকেও রাতে বিষয়টি জানানো হয়। পরে পেকুয়া থানার এস,আই খায়ের উদ্দিন ভূইয়াসহ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স ওই স্থানে পৌছেন। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা দ্রুত সটকে পড়েন। পুলিশ ব্যবসায়ীসহ স্থানীয়দের ডেকে কাজ না করতে বারণ করেন। তবে পুলিশ আসার পর তারা আবারো কাজ আরম্ভ করে।
স্থানীয়রা জানান, জমির হোসেন গংদের কোন জায়গা ওই স্থানে নেই। তারা নি:স্বত্তবান। তবে জমির হোসেন ওয়াকফ কর্মচারী হওয়ায় ক্ষমতা ও পেশীশক্তির জোরে জায়গাটি জবর দখল প্রক্রিয়ায় মেতেছে।
প্রাপ্ত সুত্রে জানান,২৫ শতক জায়গা নিয়ে সবুজ বাজারে হাজী গোলাম রব্বানের পুত্র আকবর আহমদ, তার ভাই মৌলভী কবির আহমদ, মৃত আমির হামজার পুত্র হোসন আলী গং ও ডাক্তার জমির উদ্দিন গংদের সাথে ছৈয়দ মিয়ার পুত্র জমির হোসেন গংদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। জায়গাটি সবুজ বাজারের মূল পয়েন্টে স্থিত। এতে করে ওই জায়গাটি বর্তমানে অধিক মূল্যবান। সম্প্রতি ২৫ শতক জায়গা জবর দখলের পায়ঁতারা চলছিল। পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে জায়গার ভোগ দখলীয় পক্ষ আকবর আহমদ গং রাজাখালী ইউনিয়ন পরিষদ গ্রাম আদালতে লিখিত অভিযোগ প্রেরণ করেন। ওয়ারিশ সম্পত্তি হারাহারি মতে বন্টন ও পরিমাপসহ বুঝিয়ে দেয়ার জন্য আকবর আহমদ, মৌলভী কবির আহমদ, হোসনী আলী, ডাক্তার জমির উদ্দিন গংদের পক্ষে ওই অভিযোগ পাঠানো হয়। বিষয়টি রাজাখালী ইউপির গ্রাম আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
জায়গার ওয়ারিশ মো: ইকবাল বলেন, এ জায়গা আমার বাবাসহ ৪ গ্রুপের মালিকানাধীন সম্পত্তি। ৫৬ শতক জায়গার মধ্যে আমরা পাব ২৫ শতক। ৩১ শতক জায়গার মধ্যে ৬ শতক জায়গা রাস্তার জন্য অধিগ্রহণ করা হয়েছে। ২৫ শতক জায়গা কবরস্থানের জন্য ওয়াকফ করা হয়েছে। ৩১ শতকে আমাদের কোন আপত্তি নেই। কিন্তু ২৫ শতক আমরা ৪ গ্রুপের নিষ্কন্টক জায়গা। এখানে জমির উদ্দিনের কোন দলিল নেই। মূলত মাস্তানী কায়দায় এসে জবর দখল করছে।
পেকুয়া বাজারের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক ডাক্তার এহেছান জানান,জায়গাটি পরিষ্কার আমাদের ৪ গ্রুপের জায়গা। জমির উদ্দিন তো বহিরাগত। ওয়াকফ নিয়ে তার কথা বলার কোন অধিকার নেই। মূূলত প্রভাব বিস্তার করে জায়গা থেকে আমাদেরকে বেদখল করার চেষ্টা চলছে। ইউনিয়ন পরিষদে বিচার আছে। তারা এসবও মানছে না। পুলিশ এসে নিষেধ করে গেছেন। তাও মানছে না। এরা কি এত শক্তিশালী, মানুষের জায়গা জমি কি তাদেরকে দিয়ে চলে যেতে হবে।
পেকুয়া থানার এস,আই খায়ের উদ্দিন ভূইয়া জানান, ডাক্তার এহেছান গং থানায় অভিযোগ দিয়েছে। আমরা গিয়ে শান্তি শৃংখলা রক্ষার জন্য বলেছি। আইন সবাইকে মানতে হবে।
রাজাখালী ইউপির চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সিকদার বাবুল জানান, পরিষদে বিচার রয়েছে। কাগজপত্র উপস্থাপন করতে বলেছি। বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখছি।
এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার ওসি (তদন্ত) কানন সরকার অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা জানিয়ে তিনি বলেন ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। বিরোধীয় জমিতে কোন ধরণের কাজ না করতে বলা হয়েছে।
Posted ২০:২৯ | রবিবার, ০৬ মার্চ ২০২২
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin