| শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | প্রিন্ট
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার পুলিশের ওপর ভর করে ক্ষমতায় আছে। পুলিশকে যে পরিমাণে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে তাতে মনে হচ্ছে পুলিশের হাতেই এখন গণতন্ত্রের মৃত্যু পরোয়ানা।
শনিবার বিকালে দলের নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। কর্মসূচিতে বাধা দেয়ার প্রতিবাদে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত। এছাড়া রায়ে তারেক রহমানসহ অন্য পাঁচ আসামির ১০ বছরের কারাদণ্ড ও দুই কোটি ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। রায়ের পর থেকেই ধারাবাহিকভাবে নানা কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে আট দিন কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। রাজধানীতে মিছিল, মানববন্ধন, অবস্থান, অনশনের মতো কর্মসূচি নির্বিঘ্নেই পালন করে দলটি।
তবে ২২ ফেব্রুয়ারি সমাবেশের ঘোষণা দিয়েও সেই কর্মসূচি পালন করতে পুলিশের অনুমতি না মেলায় আজ কালো পতাকা প্রদর্শনের কর্মসূচি দেয় বিএনপি। কিন্তু পুলিশের লাঠিপেটায় বিএনপির কর্মসূচি পণ্ড হয়ে যায়।
রিজভী বলেন, ‘বর্তমান দেশের এমন এক অবস্থা যাতে মনে হচ্ছে কারও মৃত্যর পর জানাজা, কুলখানি ও রূহের মাগফেরাত কামনা করতে গেলেও পুলিশের অনুমতি নেয়া লাগবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার দেশকে পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। বিরোধী দলের প্রতিবাদ ও সমালোচনা দমন করতে সরকার পুলিশকে লেলিয়ে দিয়েছে। আজকে ফুটপাতে দাঁড়িয়ে শান্তিপূর্ণ কালো পতাকা প্রদর্শন কর্মসূচি পালন করতে গেলে দলের নেতাকর্মীদের পাইকারি হারে পেটাতে পোটাতে গাড়িতে তোলা হয়েছে।’
সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে যেভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাতে আমাদের অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয়েছে। বর্তমান আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সরকারি দলের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ, ছাত্রলীগে ভরানো হয়েছে।’
এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও আজকের কর্মসূচি পালন করতে না দেয়ার প্রতিবাদে আগামী সোমবার ঢাকা মহানগরের থানায় থানায় এবং সারাদেশে জেলা ও মহানগরে প্রতিবাদ মিছিল পালন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের সহদপ্তর সম্পাদক বেলাল আহমদ, তাইফুল ইসলাম টিপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
Posted ১০:২২ | শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain