| মঙ্গলবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ | প্রিন্ট
পুলিশে দক্ষ হিসেবে পরিচিত এক শীর্ষ কর্মকর্তাকে কয়েক বছর বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করে রাখার পর তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে পুলিশ সদরদপ্তর। এই ঘটনাটি বাহিনীর শীর্ষস্থানীয় আরও বেশ কিছু কর্মকর্তাকে ভাবিয়ে তুলেছে।
গত ৩১ জানুয়ারি বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো সৈয়দ শাহ জামান রাজ সবশেষ পুলিশ সদরদপ্তরে অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি পুলিশে সৎ ও দক্ষ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তবে ২০১৩ সাল থেকেই তিনি ওএসডি ছিলেন।
পুলিশ সদরদপ্তরে পুলিশ সুপার থেকে শুরু করে উপমহাপরিদর্শক পর্যায়ের ১১ জন কর্মকর্তা ওএসডি হয়ে আছেন। এদের মধ্যে একজন সর্বোচ্চ সাড়ে আট বছর ধরে কোনো কাজ পাচ্ছেন না। এই পরিস্থিতিতে চার বছর ওএসডি হয়ে থাকার পর জনাব রাজের বাধ্যতামূলক অবসরের ঘটনাটি নিয়ে আতঙ্ক আছে অন্য অনেকের মধ্যেই।
একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘ডিআইজি পর্যায়ের একজন কর্মকর্তাকে যদি কোনো কারণ না বলেই অবসরে পাঠানো হয়, তাহলে অন্য অনেকেরই একই পরিণতি হবে না, তা তো নিশ্চিত নয়।’
জানতে চাইলে বাংলাদেশ পুলিশ সদর দপ্তরের গণমাধ্যম শাখার উপমহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুর রহমান বলেন, ‘কোনো কর্মকর্তাদের মধ্যে অবসর আতঙ্ক বিরাজ করছে কি না তা আমার জানা নেই। সবাই স্বাভাবিকভাবেই কাজ করছেন।’
জনাব রাজকে যে প্রজ্ঞাপনে অবসরে পাঠানোর কথা জানানো হয়, তাতে এই সিদ্ধান্তের কোনো কারণ ব্যাখ্যা করা হয়নি। জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইন ও পরিকল্পনা শাখার অতিরিক্ত সচিব মহিবুল হক বলেন, ‘সরকার যদি মনে করে কোনো ব্যক্তির চাকরির মেয়াদ ২৫ বছর পূর্ণ হয়েছে, তাহলে তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাতে পারে। এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ব্যাখা দেয়ার প্রয়োজন নেই।’
গত ৩১ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে শাহ জামান রাজকে ১৯৭৪ সালের গণ কর্মচারী অবসর আইনে অব্যাহতি দেয়ার কথা জানানো হয়। তিনি বিধি মোতাবেক অবসরজনিত সব সুবিধা পাওয়া যাবে বলেও জানানো হয় প্রজ্ঞাপনে।
সৈয়দ শাহ জামান রাজ জাতিসংঘ মিশন শেষে ২০১৩ সালের ১ জানুয়ারি পুলিশ সদরদপ্তরে যোগ দেন। এর আগে তিনি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ- সিআইডির অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক, সিলেট রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক, সহকারী মহাপরিদর্শক (অর্থ) পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। সরকারি কর্ম কমিশন-বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ১৯৮৬ সালে পুলিশে যোগ দিয়েছিলেন জনাব রাজ।
Posted ০৬:২৮ | মঙ্গলবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain