| রবিবার, ১৬ মে ২০২১ | প্রিন্ট
গাজার পশ্চিমে শরণার্থীশিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক পরিবারের ১০ সদস্য নিহত হয়েছেন। শুধু বেঁচে গেছে ওই পরিবারের পাঁচ মাস বয়সী এক শিশু। তবে শিশুটি গুরুতর আহত। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের।
রোববার সপ্তম দিনের মতো ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে।
স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার গাজার পশ্চিমে শরণার্থীশিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া শিশুটির নাম ওমর আল হাদিদি। হামলায় শিশুটির মা, চার ভাইবোন ও স্বজনেরা নিহত হন।
হামলার সময় শিশুটির বাবা মোহাম্মদ আল হাদিদি বাড়িতে ছিলেন না। তিনি রয়টার্সকে বলেন, ‘ওই শরণার্থীশিবির থেকে কোনো রকেট হামলা চালানো হয়নি। সেখানে শুধু শিশু ও নারী ছিলো। কোন অপরাধে তাদের এভাবে মেরে ফেলা হলো?’
ওমরের চিকিৎসক বলেন, ‘পাঁচ মাস বয়সী শিশুটির অবস্থা ভালো না। তার পায়ের হাড় ভেঙে গেছে। সারা শরীরে আঘাতের দাগ।’
ওই শরণার্থীশিবিরে কোনো রকেট হামলা চালানো হয়নি। সেখানে শুধু শিশু ও নারী ছিলো। কোন অপরাধে তাদের এভাবে মেরে ফেলা হলো?’
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, আজ ভোরে গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় কমপক্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনিরা তেল আবিবকে লক্ষ্য করে রকেট ছুড়েছে। তেল আবিব থেকে অনেকে নিরাপদ জায়গায় পালিয়ে গেছেন।
রয়টার্সের খবরে জানা যায়, গত সোমবার সহিংসতা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় কমপক্ষে ১৪৯ জন নিহত হয়েছেন। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, তাঁদের মধ্যে ৪১ জন শিশু।
যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ এবং মিসরের দূতেরা পরিস্থিতি শান্ত করতে কাজ করছেন। তবে এ পর্যন্ত পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় বসবে। ইতিমধ্যে তেল আবিব পৌঁছেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল সম্পর্কবিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি হাদি আমর।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ফোন করেছেন। গতকাল তিনি তাদের সঙ্গে পৃথক ফোনালাপ করেন বলে হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেসের (আইডিএফ) দাবি, ফিলিস্তিনিরা গাজা থেকে ২৭৮টি রকেট ছুড়েছে। আশদদ, বিরসেবা ও সদেরত শহরে হামলা চলেছে।
গতকাল ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় অবস্থিত ১২ তলা একটি ভবন হামলা চালিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়। ওই ভবনে এপি ও আল-জাজিরার কার্যালয় ছিল। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, আল-জালা নামে ওই ভবন তাদের হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল। সেখানে হামাসের সামরিক বাহিনীর কার্যালয় রয়েছে। এ কারণে হামলার আগে তারা ওই ভবন থেকে মানুষকে সরে যেতে সতর্ক করেছিল। হামলার নিন্দা জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি।
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সংঘর্ষের শুরু গত সপ্তাহে। জেরুজালেমের আল-আকসায় পবিত্র জুমাতুল বিদা আদায়কে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত। বলা হচ্ছে, বিগত কয়েক বছরের মধ্যে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড় সংঘর্ষের ঘটনা। বড় ধরনের সংঘর্ষের সূচনা হয় সোমবার পূর্ব জেরুজালেমে। সেই সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে।
Posted ১৪:০১ | রবিবার, ১৬ মে ২০২১
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain