মঙ্গলবার ২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

পাঁচ সিটিতে ভোট: প্রতিবেদন চাইল মন্ত্রণালয়

  |   বুধবার, ১৪ মার্চ ২০১৮ | প্রিন্ট

পাঁচ সিটিতে ভোট: প্রতিবেদন চাইল মন্ত্রণালয়

নির্বাচন কমিশনকে পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের জন্য সময়সীমা জানানোর আগে সীমানা সংক্রান্ত কোনো জটিলতা আছে কি না, তা জানতে চায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

এ জন্য বিভাগীয় কমিশনারদের কাছ থেকে প্রতিবেদন চেয়েছেন মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এই প্রতিবেদন দেখেই নির্বাচন কমিশনকে সুপারিশ দেয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী।

বুধবার সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ডিভিশনাল কমিশনারের কাছে জানতে চাইছি এই পাঁচ সিটি করপোরেশনের কোনো মামলা মোকদ্দমা আছে কি না।’

‘তফসিল নিয়ে হোক, ভোটার লিস্ট নিয়ে হোক, জমি মিউটিশেন নিয়া হোক, যদি কোনো মামলা মোকদ্দমা, বা রিট-টিট করে থাকে থাকলে তো আমরা নির্বাচন করতে পারব না।’

‘এই রিপোর্টটা পরিষ্কার পেলেই আমরা ইলেকশন কমিশনকে বলব তাদের সুবিধা মতো তারা নির্বাচন করতে পারে।’

সিলেট, খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে চলতি বছর। আর স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচনের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের মত জানতে চেয়ে সম্প্রতি চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

পাঁচ সিটি করপোরেশনের মধ্যে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হবে ৪ সেপ্টেম্বর, সিলেটের ৮ অক্টোবর, খুলনার ২৫ সেপ্টেম্বর, রাজশাহীর ৫ অক্টোবর ও বরিশালের ২৩ অক্টোবর।

স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন অনুযায়ী, পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার ১৮০ দিন আগে যে কোনো সময় ভোট করতে হবে।

গত ৮ মার্চ গাজীপুর এবং ১৩ মার্চ সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরু হয়ে গেছে। অন্য করপোরেশনগুলোর মধ্যে খুলনায় ৩০ মার্চ, রাজশাহীতে ৯ এপ্রিল এবং বরিশালে ২৭ এপ্রিল থেকে ক্ষণ গণনা শুরু হবে।

২০১৩ সালের ১৫ জুন একসঙ্গে চারটিতে এবং ৭ জুলাই গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট হয়েছিল। প্রতিটিতেই তখন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা জিতে যান।

চলতি বছরই হচ্ছে জাতীয় নির্বাচন। তার আগে এই সিটি নির্বাচনকে খুবই গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। এতদিন এই নির্বাচন নির্দলীয় প্রতীকে হলেও এবার তা হবে দলীয় প্রতীকে।

সরকার সঠিক সময়ে নির্বাচন চায় জানিয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সিটি নির্বাচন হবে। তবে মামলা মোকদ্দমা থাকলে বা হাইকোর্টের কোনো আদেশ থাকে তাহলে তো সেগুলো ক্লিয়ার না করে করতে পারব না।’

‘সিটি নির্বাচনের মেয়াদ শেষ হওয়ার ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা আছে। কাজেই আইনের বাধ্যবাধকতা আছে। যদি নির্বাচন না করি আমরা তাহলে আইনের পরিবর্তন করতে হবে।’

‘আমরা কি আইনের পরিবর্তন করব? এখন তো ঝামেলা ভেজাল নেই। খালি আমরা চিন্তা করছি যে বাধাটা কোথা থেকে আসতে পারে। এ জন্যই বিভাগীয় কমিশনারদের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছি।’

এই প্রতিবেদন কবে আসতে পারে-এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘সাত/আট দিনের মধ্যেই আমরা বিভাগীয় কমিশনারদের থেকে রিপোর্ট পাব।’

অন্য এক প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মধ্যে যদি ভেজাল থাকত, তাহলে আমরা চিন্তা করতাম। ভেজাল তো দেখছি না। আমাদের জনপ্রিয়তা দেখছি ভালো। তাহলে আমরা এটাকে বাধা দিয়ে প্যাঁচে পরতে যাব কেন? বাধা দিলেই তো নানা প্রশ্ন আসবে। এই ঝামেলায় আমরা পড়তে যাবো কেন।’

নির্বাচনে কোনো পছন্দের তারিখ আছে কি না- এমন প্রশ্নে মোশাররফ হোসেন জানান, এমন কোনো তারিখ নেই। তিনি বলেন, ‘রিপোর্টটা পেলেই আমরা ইলেকশন কমিশনকে বলব তাদের সুবিধা মতো নির্বাচন করতে পারে। তারা যদি পারে এক সাথে পাঁচ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন করুক। আর যদি তা না হয়, তারা আলাদা করে করতে চায় তাহলেও আমাদের আপত্তি থাকবে না।’

পৌর কর্মচারীদের চাকরি রাজস্ব খাতে যাবে না

সরকারি রাজস্বখাকে অন্তর্ভুক্তির জন্য পৌরসভার আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোনো সুখবর দেননি মন্ত্রী।

এই আন্দোলনের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘তারা চাকরি নিল পৌরসভায়। স্থানীয় সরকারের সেলফ গভর্নিং বডি তারা। তাদের নিজস্ব আয়ে তারা চলে। নিজস্ব বাজেট আছে। সরকার তাদের নিয়ন্ত্রণ করে। এখন তারা কোন উদ্দেশ্যে এসব করছে সেটা আমরা একটু বুঝতে অসুবিধা হয়।’

‘সরকারের শেষ সময়ে রাস্তায় দাঁড়ালাম, চাপ দিলাম, সরকার তাতে রাজি হয়ে গেল? এই রাজি হওয়া কি সম্ভব? আইন কানুন পরিবর্তন না করে কি এটা করা যাবে? রাস্তায় নেমে একটা দাবি করলেই কি পূরণ করা সম্ভব?’।

তবে পৌর কর্মচারীদের চাকরি রাজস্ব খাতে না গেলেও সরকার তাদের জন্য আর্থিক সুবিধা দেয়ার চিন্তা করছে বলেও জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘তারা একটা অসুবিধার মধ্যে অবশ্যই আছে। সরকারি চাকরির বেতন প্রায় সবারই ডাবল হয়ে গেছে। কিন্তু পৌরসভার আসলে সেইভাবে আয় বাড়েনি। আমরা একটা কাজ করতে চাই যে, তাদের সিড মানি দেয়া যায় কি না। সিড মানি যদি তারা পায় সেখান থেকে বর্ধিত বেতন দিল। সেখান থেকে আস্তে আস্তে বাজেট বাড়িয়ে তাদের সক্ষমতা বাড়িয়ে তাদের বেতন ভাতা দিল।’

‘তারা যদি অসুবিধায় থাকে তাহলে আমরা তাদেরকে অনুদান দিতে পারি। আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি কীভাবে তাদের সহযোগিতা করা যায়। এটা নিয়ে আমি অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৭:২১ | বুধবার, ১৪ মার্চ ২০১৮

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement
Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com