পহেলা বৈশাখে নিজের মনে নতুন প্রাণের সঞ্চার হয়েছে জানিয়ে নেতাকর্মীদের নিজের লেখা কবিতা পড়ে শুনিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ। কবিতার নাম- ‘আমি এবং বাংলার বৈশাখ’। কবিতার প্রথম কয়েকটি চরণ- আমি এবং বাংলার বৈশাখ, ‘প্রকৃতির রচিত বৃক্ষের মত আমরা বেড়ে উঠেছি/ বৈশাখ এলেই আমি উত্তেজিত হই/ বৈশাখ মানেই নতুন প্রাণের সঞ্চার………।

পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে রাজধানীর গুলশানের একটি কমিউনিটি সেন্টারে জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর (উত্তর) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এরশাদ কবিতা পাঠ করেন। তিনি বলেন, “আজ পহেলা বৈশাখ। বাংলা বছরের প্রথম দিন। সারা জাতি আজ উজ্জীবিত, আনন্দিত। সবাই আনন্দ করছে। আমার মনেও আজ নতুন প্রাণের সঞ্চার হয়েছে।”

কর্মীদের দেখেই তার নতুন প্রাণের সঞ্চার হয়েছে মন্তব্য করে সাবেক এই সামরিক শাসক বলেন, “এই পহেলা বৈশাখ সরকারি ছুটি ছিল না। ১৯৮৭ সালে আমিই প্রথম পহেলা বৈশাখকে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছিলাম। এর আগে কেউ করেনি।”

বিলবোর্ডে বাংলাভাষার উপস্থিতির বাধ্যবাধকতা সংক্রান্ত উচ্চ আদালতের রায়কে স্বাগত জানয়ে তিনি বলেন, “সম্প্রতি উচ্চ আদালত বিলবোর্ডে ইংরেজির পাশাপাশি বাংলা ভাষার উপস্থিতি থাকতে হবে বলে রায় দিয়েছে। এখানে আমি বলব, ১৯৮৭ সালে আমিই কিন্তু প্রথম সাইনবোর্ডে বাংলাভাষার উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করার নির্দেশ দিয়েছিলাম। আজ হাই কোর্টও একই রায় দিয়েছে। আমি উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।”

মেরুন রঙের পাঞ্জাবি, অফ হোয়াইট পাজামা এবং পাঞ্জাবির রঙের সঙ্গে মিলিয়ে নাগরা জুতা পরে অনুষ্ঠানে আসেন এরশাদ। দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আমাদের স্লোগান শান্তির জন্য পরিবর্তন। নতুন বছরের অঙ্গীকার হোক পার্টিকে নতুন করে সাজাব।”

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, এস এম ফয়সল চিশতীসহ দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।