| শনিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২১ | প্রিন্ট
বগুড়ার ধুনটে পরীক্ষার ফি দিতে না পারায় মাদরাসার এক ছাত্রকে কাঠের বাটাম দিয়ে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ অভিভাবকরা অধ্যক্ষকে তার নিজ কার্যালয়ের ভেতর তালাবদ্ধ করে রাখেন। খবর পেয়ে দুই ঘণ্টা পর অধ্যক্ষকে উদ্ধার করে পুলিশ।
শনিবার সকাল ৯টার দিকে ঝিনাই ইসলামিয়া সিনিয়র ফজিল মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে। ওই শিক্ষার্থী বাদী হয়ে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষার্থী মনিরুল ইসলাম ঝিনাই ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে ২০২১ সালের বার্ষিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে। দশম শ্রেণির প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য ২২০ টাকা করে ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে মনিরুল ইসলাম ১২০ টাকা পরিশোধ করেছে। আর্থিক অনটনের কারণে বাকি ১০০ টাকা পরিশোধ করতে পারছে না।
এ কারণে মাদরাসার অধ্যক্ষ আমান উল্লাহ শনিবার সকাল ৯টার দিকে মনিরুল ইসলামকে মাদরাসার অফিসকক্ষে ডেকে নিয়ে কাঠের বাটাম দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন। এ সময় শিক্ষার্থীর চিৎকারে স্থানীয় অভিভাবকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে অধ্যক্ষ আমান উল্লাহকে তার অফিস কক্ষে তালা লাগিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগ বাদী হয়ে শনিবার দুপুর ১টার দিকে অধ্যক্ষ আমান উল্লাহর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে। তবে অধ্যক্ষ আমান উল্লাহর ২৮ নভেম্বর ধুনট উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার দায়িত্ব থাকায় মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ আমান উল্লাহ বলেন, পরীক্ষার ফি চাওয়ার কারণে ওই ছাত্র উত্তেজিত হয়ে আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করায় সামান্য মার মেরেছি।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, অধ্যক্ষকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। কিন্ত ইউপি নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন পর শিক্ষার্থীর অভিযোগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সূএ:পূর্বপশ্চিমবিডি
Posted ১০:৫৭ | শনিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২১
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain