শনিবার ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম >>
শিরোনাম >>

পরীক্ষার জন্য খালেদাকে বিএসএমএমইউতে নেওয়া হতে পারে

  |   শুক্রবার, ০৬ এপ্রিল ২০১৮ | প্রিন্ট

  • খালেদাকে দেখতে বৃহস্পতিবারও ব্যক্তিগত চিকিৎসকেরা অনুমতি পাননি।
  • ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মামলা চালানো নিয়ে বিতর্ক।
  • ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চার সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার এক্স-রে ও রক্ত পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ ছুটির দিন থাকায় কাল অথবা পরশু এসব পরীক্ষার জন্য তাঁকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নেওয়া হতে পারে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে সরকারি এই সিদ্ধান্তের কথা জানা গেছে।

এদিকে বিএনপি বলেছে, খালেদা জিয়াকে দেখতে গতকাল বৃহস্পতিবারও তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসকেরা অনুমতি পাননি। এতে পরিষ্কার হয়ে গেছে, সরকার বিএনপির চেয়ারপারসনকে সঠিক চিকিৎসা করতে দিতে চায় না।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, খালেদা জিয়াকে তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর এ বিষয়টি ঠিক করা হবে। তবে গতকাল পর্যন্ত খালেদা জিয়া তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসকের পরামর্শের বাইরে কোনো ওষুধ নেননি বলে জানা গেছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সাধারণ বন্দীদের যেমন বিভিন্ন সময় পরীক্ষার জন্য সরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়, সেই একই ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সচিবকে (সুরক্ষা ও সেবা) নির্দেশ দিয়েছেন। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান গতকাল  বলেন, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে নেওয়া হবে।

ভিডিও কনফারেন্স নিয়ে বিতর্ক
খালেদা জিয়াকে গতকালও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাজির করা হয়নি। ফলে গতকাল জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় অল্প সময় আদালতের কার্যক্রম চলে। এই সময়ে আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে একটা নতুন বিষয় নিয়ে বেশ উত্তপ্ত বিতর্ক হয়েছে। তা হলো ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মামলার কার্যক্রম চালানো।

বেলা সাড়ে ১১টায় বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক আখতারুজ্জামান এজলাসে ওঠেন। এরপরই রাষ্ট্রপক্ষে দুদকের প্রধান আইনজীবী মোশাররফ হোসেন আদালতের উদ্দেশে বলেন, ‘স্যার, যুক্তিতর্কের জন্য তারিখ নির্ধারিত ছিল। দুজন আসামি উপস্থিত আছেন। কিন্তু খালেদা জিয়া অনুপস্থিত। আমরা জেনেছি তিনি অসুস্থ। তিনি আর্থ্রাইটিসে ভুগছেন। এটা ওনার নতুন কোনো অসুখ নয়। মেডিকেল বোর্ড যে চিকিৎসা দিয়েছেন, তিনি তা নিচ্ছেন না। তবে তাঁকে একটা বেড (বিছানা) দেওয়া হয়েছে।’

মোশাররফ হোসেন বলেন, তাঁরা ভাবছেন, দণ্ডবিধির ৩ ধারা অনুযায়ী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মামলার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আবেদন করবেন। সম্প্রতি ভারতে একটি মামলায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কার্যক্রম চালানো হয়েছে। তিনি দু-চার দিনের মধ্যে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করতে আদালতের প্রতি আরজি জানান।

এ সময় মোশাররফ হোসেনের বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানান আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুর রেজাক খান। তিনি বলেন, দুদকের আইনজীবী তাঁর সীমা অতিক্রম করে বক্তব্য দিচ্ছেন। আদালত চলে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনায়। কোন আদালত কোথায় বসবে, কীভাবে চলবে তা নির্ধারণ করার এখতিয়ার সুপ্রিম কোর্টের। কোনো আইনজীবী বলতে পারেন না যে তাঁরা এইভাবে আদালতের কার্যক্রম চালাতে চান। তাঁর এই বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়। ভিডিও কনফারেন্স, এটা-সেটা, এগুলো বাড়াবাড়ি। এত বাড়াবাড়ি ঠিক নয়।

রেজাক খান খালেদা জিয়ার জামিনের আবেদন করেন এবং এক মাস পরে এই মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণের জন্য আদালতকে অনুরোধ করেন। উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে আদালত ২২ এপ্রিল পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন এবং ওই দিন পর্যন্ত সব আসামির জামিন মঞ্জুর করেন।

গতকাল সকালে কারাগারের চিকিৎসক খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে আদালতে ‘কাস্টডি রিপোর্ট’ পাঠান। তাতে লেখা হয়েছে, খালেদা জিয়া অসুস্থ। আইনজীবী রেজাক খান আদালতের কাছে ওই রিপোর্ট দেখতে চাইলে আদালত তাঁকে তা দেখান।

বিএনপির অভিযোগ
গতকাল দুপুরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেন, সরকার খালেদা জিয়াকে ন্যূনতম অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। তাঁকে একটা পরিত্যক্ত নির্জন কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। কোনো সভ্য দেশে, গণতান্ত্রিক দেশে এর নজির খুঁজে পাওয়া যাবে না।

এ সময় সদ্য কারামুক্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমরা জানি, বর্তমান সরকার খালেদা জিয়াকে বের হতে দেবে না। এখানে আদালতের কিছু করার নাই। কারণ আদালত কন্ট্রোল বাই দ্য গভর্নমেন্ট। সরকারের নিয়ন্ত্রণে না থাকলে যেদিন রায় হয়েছে তার সাত দিনের মধ্যে বেগম জিয়া মুক্তি পেতেন।’

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারকে বিশেষ কারাগার ঘোষণা দিয়ে তাঁকে সেখানে রাখা হয়।প্রথম আলো

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১৬:৪০ | শুক্রবার, ০৬ এপ্রিল ২০১৮

Swadhindesh -স্বাধীনদেশ |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

Advisory Editor
Professor Abdul Quadir Saleh
Editor
Advocate Md Obaydul Kabir
যোগাযোগ

Bangladesh : Moghbazar, Ramna, Dhaka -1217

ফোন : Europe Office: 560 Coventry Road, Small Heath, Birmingham, B10 0UN,

E-mail: news@swadhindesh.com, swadhindesh24@gmail.com