| বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০১৪ | প্রিন্ট
শেখ সাইদুর রহমান টুটুল : যোগযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পে লোক নিয়োগের বিষয়টি ভূয়া ও প্রতারণা। সেতু বিভাগ এ ধরণের কোন লোক নিয়োগ দিচ্ছে না। একটি মহল সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে দীর্ঘ দিন ধরে চক্রান্ত করে চলেছে। তারা পদ্মা সেতু প্রকল্পে লোক নিয়োগের নামে অর্থের বিনিময়ে ফরম বিক্রি করছে। আর এ ফাঁদে পা দিয়ে প্রতারিত হচ্ছে লোকজন।
সেতু প্রকল্পে শ্রমিক নিয়োগ, সিমেন্ট, ইট, বালু, কংক্রিট সাপ্লাইয়ের নামে ফরম বিক্রি করে জনসাধারণকে সাব-কন্ট্রাক্ট পাইয়ে দিতে প্রতারণা করে তাদের নিকট থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এ ফাঁদে কোন মতেই পা দেয়া যাবেনা। কারণ পদ্মা সেতুর কাজ পেতে যাচ্ছে চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোং লিঃ। সুতরাং কন্ট্রাক্টর কাজে কাকে সাব-কন্টাক দিবে বা কাজে শ্রমিক হিসেবে নিয়োগ করবে না-কি অন্য কোথাও থেকে শ্রমিক আনবে সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। সুতরাং মূল কন্ট্রাক্টরের বাইরে কেউ কাজ দিতে চাইলে তা হবে প্রতারণা।
বৃহস্পতিবার মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকা পরিদর্শণে এসে তিনি সাংবাদিকদের সাথে আলাপ কালে এ কথা বলেন। যোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, আগামী আগষ্ট মাসে মূল পদ্মা সেতুর কার্যাদেশ দেয়া হবে। প্রায় কাছাকাছি সময়ে নদী শাসনের কার্যাদেশও দেয়া হবে। ইতিমধ্যে এ কাজের জন্য ৪টি কোম্পানি যোগ্যতা লাভ করেছে। তাদেরকে আর্থিক প্রস্তার দিতে বলা হয়েছে। প্রস্তাব পাবার পর পরীক্ষা নিরীক্ষা করে যোগ্য কোম্পানিকে কার্যাদেশ দেয়া হবে। পরে মন্ত্রী কুমারভোগের শিমুলিয়ায় নির্মানাধীন মাওয়া স্থানান্তরিত অস্থায়ী ঘাটের কাজ পরিদর্শন করে ও মাওয়া পুরোনো ফেরি ঘাট সংলগ্ন তীর রক্ষা বাধের কাজ পরিদর্শন করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, স্থানান্তরিত মাওয়া অস্থায়ী ঘাটের কাজ শুরু হয়েছে। এ কাজ শেষ হতে প্রায় আড়াই মাস সময় লাগবে। বিআইডব্লিউটিএ ঘাট নির্মানের কাজ করছে। আর সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নির্র্মিত হচ্ছে দেড় কিলোমিটারের রাস্তার কাজ।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের ডেপুটি চিপ কোয়ার্ডিনেটর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ সাঈদ আনোয়ারুল ইসলাম, সড়ক ও জনপথের ঢাকা সড়ক সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ শাহাবুদ্দিন খান, বিআইডব্লিউটিএর প্রধান প্রকৌশলী মজিবুর রহমান সরকার, মুন্সীগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল হোসেন, পদ্মা সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী (নদী শাসন) শরিফুল ইসালাম, নির্বাহী প্রকৌশলী (সড়ক ও সেতু) সৈয়দ রজব আলী, সড়ক ও জনপথের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শেখ সোহেল আহমেদসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের উচ্চ পদস্ত কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।
Posted ১২:২৯ | বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin