পদ্মা সেতু নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার সরকার সকল ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে ১৬ কোটি মানুষের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।

পদ্মা সেতুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের বিচারের দাবিতে রোববার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশ ও মানববন্ধনে তিনি একথা বলেন।

বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত এ মানববন্ধনে আওয়ামী লীগের অন্যতম মুখপাত্র বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে কোন দুর্নীতিতো হয়ইনি এমনকি য়ড়যন্ত্রের প্রমাণও মেলেনি। কানাডার আদালতে মামলার রায়ে বলা হয়, এই অভিযোগ অনুমান-নির্ভর মনগড়া ও গুজব।

সাবেক বন ও পরিবেশমন্ত্রী আরও বলেন, এ রায় যদি বাংলাদেশের কোন আদালত দিত তাহলে বেগম জিয়া বলতেন, সরকার প্রভাব খাটিয়ে আদালতের রায় পক্ষে নিয়েছে। কিন্তু কানাডার আদালতের রায়ে এখন তিনি কি বলবেন? কানাডার আদালতের ওপর তো বাংলাদেশ সরকারের কোনো প্রভাব নেই, এমনকি কানাডা সরকারেরও কোনো প্রভাব নেই।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ব ব্যাংক ভুল স্বীকার করে পদ্মা সেতু নির্মাণে পুনরায় অর্থায়ন করতে চেয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছিলেন, বিশ্ব ব্যাংকের টাকা লাগবে না। বাংলাদেশ নিজস্ব অর্থায়নেই নির্ধারিত সময়ে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করবে।

টিআইবির সমালোচনা করে ড. হাছান বলেন, সে সময় তারা পদ্মাসেতুর চক্রান্তকারীদের পক্ষে ছিল। কিন্তু রায় ঘোষণার পর তাদের সুর পাল্টে গেছে। রায় ঘোষণার পর তাদের ক্ষমা চাইতে হবে।

ড. হাছান আরও বলেন, আমি যথাযথ সম্মান রেখে বিনয়ের সঙ্গেই বলবো, সে সময় ড. ইউনূস ষড়যন্ত্রকারীদের সঙ্গে ছিলেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার যে ই-মেইল চালাচালি হয়েছে তার মাধ্যমে এই সত্য বেরিয়ে এসেছে।

ড. হাছান বলেন, আদালতের রায়ের পর কিছু বুদ্ধিজীবী ও বিএনপি-জামায়াত ষড়যন্ত্রকারীদের সরকারের কাছে নয়, এ দেশের সাধারণ মানুষের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। সে সময় যারা পদ্মা সেতুতে দুর্নীতি হচ্ছে বলে রব তুলেছিলেন, পত্রিকায় নিবন্ধ লিখেছিলেন তাদের মুখ চুপষে গেছে।

বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র করে ব্যর্থ হয়েছেন। এখন আমি অনুরোধ করব নির্মাণাধীন পদ্মা সেতু পরিদর্শন করে আসুন। শুধু খালেদাই নয়, যারা পদ্মাসেতুর বিরোধিতা করেছেন তিনি তাদের সবাইকে পদ্মা সেতুর নির্মাণস্থল পরিদর্শনের আহ্বান জানান।

বক্তব্যের এক পর্যায়ে ড. হাছান হাস্যরস করে বলেন, যারা ষড়যন্ত্র করেছেন তাদের অনুরোধ করবো আপনারা পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে না গিয়ে নিচ দিয়ে যাবেন।

সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক চিত্তরঞ্জণ দাসের সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগ নেতা এমএ করিম, শিক্ষক নেতা শাজাহান আলী সাজু, বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান, অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।