| বুধবার, ০৪ জুন ২০১৪ | প্রিন্ট
৪ জুন: দেশের বিচার বিভাগ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী যেসব বক্তব্য দিয়েছেন আদালত অবমাননার শামিল বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন।
তিনি বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আসনে বসে এ ধরনের বক্তব্য দেয়াকে সুপ্রিম কোর্টের বিরুদ্ধে হুমকি। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট যদি এসব বক্তব্যের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করে, তাহলে ভেবে নেবো সরকারকে আদালত ভয় পায়।
বুধবার সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, হাইকোর্টের আদেশ নিয়ে আদালত অবমাননাকে পরোয়া করিনা মর্মে প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তা স্বাধীন বিচারব্যবস্থাকে হেয় করার শামিল।
‘বিচার বিভাগকে তাদের সীমা অতিক্রম করা উচিত নয়’ মর্মে আইনমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্য “বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ ও সরকারের আজ্ঞাবহ মেরুদণ্ডহীন করার প্রচেষ্টার শামিল” বলেও মনে করেন তিনি।
বার সভাপতি বলেন, “আমরা প্রধানমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
তিনি বলেন, “আজ সকালে এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে তা উপস্থাপনের জন্য বলেন। পরবর্তীতে বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মুহাম্মদ খোরশেদ আলম সরকারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের নজরে আনা হলে আদালত পত্রিকার রিপোর্ট দুটি দেখেন এবং কোনো আদেশ না দিয়ে নথিতে রাখতে বলেন।”
মাহবুব আরো বলেন, “প্রশাসকের পক্ষ থেকে সুপ্রীমকোর্টের নির্দেশনার বিরুদ্ধে এই ধরণের কটাক্ষ বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি নষ্ট ও হুমকি স্বরুপ বলে আমরা মনে করি।”
তিনি বলেন, “আশা করি সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে। নতুবা বিচার বিভাগ বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সক্ষম নয় বলে আমরা মনে করব।”
তিনি বলেন, “এর আগে আদালত অবমাননার অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তিনবার রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।কিন্তু একটি রুলেরও নিষ্পত্তি হয়নি।” আগে সুপ্রিম কোর্টের যে সাহসী ভূমিকা ছিল এখন তা নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
Posted ১৪:৪৯ | বুধবার, ০৪ জুন ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin