| সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০১৪ | প্রিন্ট
ন্যানো সেন্সর ব্যবহার করে মানবদেহের রক্তের ভেতরে ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদান বায়োমার্কার এই প্রথম সম্পূর্ণভাবে নির্ণয় করতে সক্ষম হয়েছেন ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে এটি একটি বিরল সাফল্য। পাশাপাশি এই সাফল্য পাওয়া গেছে ন্যানো টেকনোলজির মাধ্যমে। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, ন্যানো প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আগামীতে চিকিৎসা গবেষণায় আরো বড় সাফল্য ধরা দেবে। রক্তে ক্যানসার সৃষ্টিকারী জীবাণু বা উপাদান নির্ণয়ের ফলে ব্ল্যাড কানসার নির্ণয় ও নিরাময়ের পথ সুগম হলো বলে বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন। পাশাপাশি এই পদ্ধতির মাধ্যমে প্রস্টেট ও ব্রেষ্ট ক্যানসার নির্ণয় ও নিরাময়েও সাফল্য আসবে মনে করেন তারা।
ইউএস মেডিক্যাল জার্নালে এ সংক্রান্ত একটি গবেষণা প্রতিবেদন সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সের অধ্যাপক মার্ক রিড ও বায়োমেডিক্যাল অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর অধ্যাপক তাকের ফ্যামি, ন্যানোওয়্যার সেন্সর ব্যবহার করে প্রস্টেট ও ব্রেস্ট ক্যানসার সৃষ্টিকারী বায়োমার্কার নির্ণয় করে আসছেন কয়েক বছর ধরে। ইতিপুর্বে এই ধরণের কার্যকর ন্যানোসেন্সর রোগ নির্ণয়ে না হলেও গবেষণাগারে ব্যবহার করা হয়েছে। বর্তমানে এটি ক্যানসার সৃষ্টিকারী জটিল উপাদান নির্ণয়ে ব্যবহার হবে।
অধ্যাপক ফ্যামি জানান, একটা সময় ছিল যখন সেন্ট্রিফিউজ ব্যবহার করে রাসায়নিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে ক্যানসারের উপাদান নির্ণয়ে কয়েকদিন সময় লেগে যেত। কিন্তু ন্যানোসেন্সর ব্যবহার করে ক্যানসারের উপাদান নির্ণয়ে এখন কয়েক মিনিটের বেশি সময় লাগবে না। এতে রোগ নির্ণয় ও নিরাময়ের কাজও দ্রুত হবে। অধ্যাপক রিড বলেন, ধারাবাহিক গবেষণার মাধ্যমে জটিল রোগ নির্ণয় ও নিরাময়ে অনেক সাফল্য অতীতে পেয়েছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা। এসব সাফল্যের হাত ধরে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও যন্ত্রপাতির আবিস্কার ঘটেছে। কিন্তু এবারের এই সাফল্য বিরল। ক্যানসারের উপাদান নির্ণয়ে এই সাফল্য বিস্ময়কর শুধু নয় অতীতের সকল সাফল্যের শীর্ষে উঠে এসেছে। মানব সমাজ এই আবিস্কারের ফলে প্রভুত লাভবান হবে।
Posted ১৮:২৫ | সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০১৪
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | admin