| শনিবার, ০৫ জানুয়ারি ২০১৯ | প্রিন্ট
নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রাষ্ট্রের সঙ্গে বিশ্বাস ঘাতকতা করেছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ১৯৭১ সালে আমরা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার জন্য যুদ্ধ করেছিলাম, কথানো ভাবিনি আমাদের জনগণের ট্যাক্সের টাকায় যাদের বেতন চলে, যারা প্রশাসনে র্যাব, পলিুশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনীতে কাজ করে তারা একটি অন্যায়কে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বেআইনী কাজ করবে।
শনিবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ফেনীর দাগনভূঞায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টুর বাড়িতে ফেনী-৩ আসনের সর্বস্তরের জনগণ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন,
এটা রাষ্ট্রের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা। তাদেরকে ভবিষ্যতে আইনের আওতায় আনা হবে। রাষ্ট্রকে ধ্বংস করার যে পরিকল্পনা তারা করেছিলো তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। তাদেরকে মনে রাখতে হবে নির্বাচন ছেলে খেলা নয়। প্রজাতন্ত্রের মালিক জনগণ। এসময় তিনি আরো বলেন, ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করিনি একটি দলকে ক্ষমতায় আনার জন্য। এদের মানুষ সবসময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। পৃথিবীর কোনে দেশে স্বেরাচার টেকেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনি বঙ্গবন্ধুর চেয়ে বড় নেতা নন। একদলীয় সরকার গঠন করার কারণে তিনিও টিকতে পারেন নি। এখনো সময় আছে নির্বাচনকে বাতিল করে দেন। আমাদের দাবী শুধু বিএনপিকে ক্ষমতায় আনা নয়, গনতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করা।
মির্জা ফখরুল বলেন, পাক হানাদার বাহিনী যেভাবে মানুষের ওপর হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো, ৩০ ডিসেম্বর দেশের একটি সরকার প্রশাসনকে নিয়ে একই কায়দায় জনগণের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এটি কোন নির্বাচন ছিলো না, এটি ছিলো একদলীয় সরকার গঠনের পরিকল্পনা। গণ ঐক্যের ডাকে মানুষের সাড়া দেখে তারা ভয় পেলো, নির্বাচনে জনগণ যাতে ভোট দিতে না পারে তার সমস্ত ব্যবস্থা করে রেখেছিলো সরকার।
উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যদি এতো জনপ্রিয় হয়, এতো উন্নয়ন করে তাহলে কেন বিরোধী পক্ষকে কারাগারে রেখে নির্বাচন করতে হবে। সংলাপে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর কোন গ্রেপ্তার করবেন না, কিন্তু তিনি সেই প্রতিশ্রুতি রাখেননি। নির্বাচনের আগের দিনও গ্রেপ্তার হয়েছে নেতাকর্মীরা। ২০১০ সাল থেকে বিএনপির বিরুদ্ধে ৯৮ হাজার মামলা ও ২৫ লাখকে আসামী করেছে।
মতবিনিময় সভায় জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, নোয়াখালীর সূবর্ণ চরে ধানের শীষে ভোট দেয়ার পারুল আক্তার নামে যে নারীকে ধর্ষণ করা হয়েছে এটির মাধ্যমে দেশের ১৮ কোটি মানুষের উপর নির্যাতন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আপনি একজন নারী, আপনার দলের নেতাকর্মীরা একজন নারীর প্রতি যে পাশবিক নির্যাতন করেছে তার জন্য আপনাকে দেশ ও জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। এসময় জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন, বাংলাদেশ এক মহা দূর্যোগের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। খুনি-জানোয়ার থেকে দেশকে রক্ষা করতে হলে ঐক্যবদ্ধ ভাবে তাদের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে।
এসময় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালি, জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এড. আবু তাহের, সাধারণ সম্পাদক জিয়া উদ্দিন মিস্টার, দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপি সভাপতি ও ফেনী-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী আকবর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক চুট্টু, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নিজাম উদ্দিন হুদনসহ বিপুল সংখ্যক দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
Posted ২১:৫১ | শনিবার, ০৫ জানুয়ারি ২০১৯
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain