| মঙ্গলবার, ২৩ অক্টোবর ২০১৮ | প্রিন্ট
নির্বাচনের আগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের কোনও সুযোগ নেই জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমাদের সংসদ চলবে আর মাত্র দুই দিন। এই দুই দিনে এটা নিয়ে আলোচনার সুযোগ নেই।
মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) সকালে সচিবলায়ে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এ আইনের যাতে কোনও অপপ্রয়োগ না হয় সে বিষয়ে আমরা শক্তভাবে নজর রাখবো। আমরা মনে করি এ আইন দিয়ে দুষ্টের দমন এবং শিষ্টের লালন হবে। এ আইনের মাধ্যমে কোনও নিরপরাধ ব্যক্তিকে হয়রানি করা হবে না।
একটি ঘটনার উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেরপুরে আমার সঙ্গে এক মহিলার ছবি বিকৃত করে ফেসবুকে শেয়ার করা হয়েছিল। ঘটনাটি সঠিক ছিল না। বিষয়টি নিয়ে আমাদের দলীয় এক স্থানীয় নেতা মামলা করেছিল। এতে ঐ মহিলাকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল।
সেতুমন্ত্রী জানান, পরে আমি বিষয়টি জানতে পেরে এ বিষয়ে পুলিশের আইজি এবং শেরপুরের পুলিশ সুপারকে ফোন করেছি। বলেছি, আমাকে না জানিয়ে সেই মহিলাকে গ্রেফতার করা হলো কেন? অসত্য ঘটনায় এমন করা হলো, অথচ আমাকে জানানো হলো না এটা কেমন কথা? পরে আমি বলার পর মামলা প্রত্যাহার হয়েছে, গ্রেফতারকৃত মহিলাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে আমরা চেষ্টা করবো যাতে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের কোনও অপপ্রয়োগ না ঘটে।
উল্লেখ্য, গত ১৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে ডিজিটাল নিরাপত্তা বিল পাস হয়। এই আইনের ৩২ ধারা নিয়ে আপত্তি ছিল সম্পাদক পরিষদের। এই ধারা অনুযায়ী অতি গোপনীয় কোনও নথি কপি করলে ১৯২৩ সালের অফিসিয়াল সিক্রেসট অ্যাক্টের বিধান অনুযায়ী বিচারের কথা বলা আছে।
এই আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর থেকে সম্পাদক পরিষদ সরকারের সঙ্গে একাধিকবার দেন দরবার করেছে। সরকার আশ্বাস দিয়েছিল, স্বাধীন সাংবাদিকতা বিঘ্নিত হয় এমন কিছু হবে না।
সম্পাদক পরিষদ মনে করছে, এই বিধানের কারণে স্বাধীন সাংবাদিকতা হুমকির মুখে পড়বে আর এর প্রতিবাদে মানববন্ধনের ঘোষণা দিয়েছিল তারা। পূর্ব-পশ্চিম
Posted ১৪:০৬ | মঙ্গলবার, ২৩ অক্টোবর ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain