| শনিবার, ২৬ মে ২০১৮ | প্রিন্ট
সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সংসদ সদস্যদেরকে প্রচার-প্রচারণায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা সরকারের এই ইচ্ছা পূরনের মধ্য দিয়ে সাংবিধানিকভাবে স্বাধীন কমিশনকে শেখ হাসিনার আঁচলে বেঁধে দিলেন বলে এমন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী।
শনিবার (২৬ মে) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন্তব্য করেন। তিনি বলেন, নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা সংশোধন করেছে ইসি, যা গভীর ষড়যন্ত্রমূলক এবং ভোটের ময়দান ধ্বংসের সামিল। এর ফলে ভোটের মাঠে সমান সুযোগ থাকবে না। এটি ভোটারদের প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা। এটি নির্বাচনী রায়ের মধ্য দিয়ে জনগণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবার ক্ষমতাকে আটকে ফেলা হলো। ক্ষমতাসীন দলকে লাভবান করতেই ইসি নির্বাচনী এই আচরণবিধি সংশোধন করেছে।
রিজভী বলেন, গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে একজন নির্বাচন কমিশনার এই সংশোধনীর বিরুদ্ধে নোট অব ডিসেন্ট দিলেও প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা সরকারী দলের নুন খাওয়ার অমর্যাদা করেননি। তিনি বর্তমান নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ক্ষমতাসীন দলের একচেটিয়া মাঠে পরিণত করতেই নিরবে-নিভৃতে কাজ করে যাচ্ছেন। সিইসি চান না দেশে কোন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক। এই নির্বাচনী আইন প্রণয়নের ফলে আইনের চোখে সবাই সমান থাকলো না। এটি সংবিধানের ২৬ অনুচ্ছেদের সুস্পষ্ট লংঘন।
বিএনপির মুখপাত্র অভিযোগ করেন, মাদকবিরোধী অভিযানের নামে বিচার বহির্ভূতভাবে এখন পর্যন্ত প্রায় ৭৫ জনকে হত্যা করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। গতরাতেও ৫ জেলায় ৭ জনকে ক্রসফায়ারে দেয়া হয়েছে। গোটা দেশকে হত্যার বধ্যভূমিতে পরিণত করতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে মাদক নির্মূলের নামে এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরী করা হয়েছে। এভাবে নির্বিচারে মানুষ হত্যা সকলের জন্য রীতিমতো উদ্বেগ, ভয় ও বিপদের কারণ হতে পারে। এখন ক্রমান্বয়ে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে এবং নতুন করে টার্গেট করা হচ্ছে। এখন দেশজুড়ে মাদক বিরোধী যে অভিযান চলছে সেখানে পুলিশ তাদের ইচ্ছা মতো সাধারণ মানুষদের বিশেষ করে কোথাও কোথাও বিএনপিসহ বিরোধী দলের রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ধরে মোটা অঙ্কের অর্থ আদায় করছে, হয়রানী করছে এবং দাবিকৃত টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে তাদেরকে নির্মমভাবে ক্রসফায়ারে দিয়ে হত্যা করা হচ্ছে কিংবা হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
Posted ১৩:০৬ | শনিবার, ২৬ মে ২০১৮
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain