নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ২০ নভেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত ছাত্রদল নেতা মো. নয়ন মিয়ার জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।
রোববার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিহত নয়নের ময়না তদন্ত করা হয়।
জানাজায় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মো. আব্দুস সালাম, আমানউল্লাহ আমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, খন্দকার আবু আশফাক, ডা. রফিকুল ইসলাম, মোস্তাক মিয়া, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, রফিকুল আলম মজনু, মো: আমিনুল হক, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, আব্দুল মোনায়েম মুন্না, মামুন হাসান, নুরুল ইসলাম নয়ন, সাবেক ছাত্রনেতা আহসান উদ্দিন খান শিপন, মেহবুব মাসুম শান্ত, ছাত্রদলের কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
জানাজা পড়ান ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা শাহ নেছারুল হক। পরে তার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের ঠিকানা শেখ হাসিনা করেছেন- হয় কারাগার, তা না হলে গোরস্থান। আমাদের মৃত্যুর সঙ্গে চলাফেরা করতে হচ্ছে। আর ওবায়দুল কাদের বলেন, খেলা হবে! আসলে আপনারা তো খেলছেন মরণ খেলা। মৃত্যুর খেলা। আর সেই খেলার নির্মম শিকার হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ছাত্রদলের নয়ন মিয়া।
তিনি বলেন, আর কত রক্ত ঝরাবেন? এখনো দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার আন্দোলনে তাজা তরুণরা পুলিশের বুলেট ধারণ করতে প্রস্তুত। ত্যাগের বিনিময়ে আমরা গণতন্ত্র ফেরাবোই।
আজ রাতেই পারিবারিক গোরস্থানে নয়নকে দাফন করার কথা রয়েছে।
এর আগে শনিবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে বাঞ্ছারামপুর থানা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন নয়ন মিয়া। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় নেওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সে মারা যান তিনি।
Posted ১৬:৩৮ | রবিবার, ২০ নভেম্বর ২০২২
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain