এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে ময়েজ উদ্দিন সরদারের ছেলে খোরশেদ আলম বাদী হয়ে প্রতিপক্ষের ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার পর অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। এরা হলেন, খাগড়া গ্রামের নাজমুল হক (২১), রকিউল ইসলাম রকি (২৫), জাহানারা বেগম (৪৮), সালেমা বিবি (৫৫), মোকছেদা বেগম (৫৩) ও হাফেজ উদ্দিন (৪২)। এর মধ্যে হাফেজ উদ্দিন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পুলিশি হেফাজতে চিকিৎসাধীন আছেন।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমা শাহিন বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় ময়েজ উদ্দিনের ছেলে খোরশেদ আলম বাদী হয়ে প্রতিপক্ষের ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরপর অভিযান চালিয়ে ৬ আসামিকে আটক করা হয়। শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে তাদের নওগাঁ জেলখানায় পাঠানো হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, প্রতিপক্ষের মারধরে আহত ময়েজ উদ্দিন সরদার চিকিৎসাধীন আবস্থায় মারা গেছেন। তার ছেলের দায়ের করা মামলার সাথে এখন হত্যা মামলার ধারা সংযুক্ত করা হবে। উল্লেখ্য, বসতভিটার জমি নিয়ে মান্দা সদর ইউনিয়নের খাগড়া গ্রামের আলিমুদ্দীন সরদারের সঙ্গে প্রতিবেশী রেজাউল ইসলামের বিরোধ চলছিল। জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের ছয়জন আহত হন।