| শনিবার, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ | প্রিন্ট
বগুড়ার ধুনটে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৩) প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের আলামত নষ্ট করতে অবৈধভাবে গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। গর্ভপাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ায় তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
থানার অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধুনট উপজেলার গোপালনগর ইউনিয়নের মহিশুরা গ্রামের ষষ্ঠ শ্রেণির এক মাদ্রাসারছাত্রীকে একই গ্রামের এক যুবক (২০) প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করেন। এতে করে ওই ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে বিষয়টি অভিযুক্ত ওই যুবকের পরিবারের মধ্যে জানাজানি হয়ে যায়। ফলে অভিযুক্ত যুবক ও তাঁর পরিবারের লোকজন ধর্ষণের আলামত নষ্ট করতে গত ২৪ জানুয়ারি বিকেলের দিকে ওই ছাত্রীকে কৌশলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে শেরপুর উপজেলার একটি ক্লিনিকে গর্ভপাত করান। এই গর্ভপাত ঘটানোর ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ওই ছাত্রী শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে বিষয়টি ওই ছাত্রীর পরিবার জানতে পেরে চিকিৎসার জন্য গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেন। এই ঘটনায় ওই ছাত্রীর চাচা বাদী হয়ে যুবকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গতকাল রাতেই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের খবর জানার পর থেকে অভিযুক্তের পরিবারের লোকজন পলাতক থাকায় তাঁদের সঙ্গে কথা বলা যায়নি।
ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ইকবাল হোসেন সানি বলেন, অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে জোর করে গর্ভপাত ঘটানোর কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে। এ কারণে মেয়েটি শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে। তার চিকিৎসা চলছে। অবস্থার উন্নতি হতে কয়েক দিন সময় লাগতে পারে।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ছাত্রীকে ধর্ষণ ও অবৈধ গর্ভপাত ঘটানোর লিখিত অভিযোগ পাওয়া পর থেকে তদন্ত চলছে। ঘটনার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Posted ০৯:৪৪ | শনিবার, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
Swadhindesh -স্বাধীনদেশ | Athar Hossain